Rath Yatra 2026: আগামী বছর পুরীর জগন্নাথ মন্দিরে (Shree Jagannatha Temple Puri) রথযাত্রা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য প্রশাসন। ২০২৬ সালের রথযাত্রায় 'কোঠা ভোগ' (Kotha Bhoga) ও 'মহাপ্রসাদ'(Mahaprasad) হবে জৈব চাল বা অরগানিক রাইসের ব্যবহার করে। ওডিশার কৃষি মন্ত্রকের মুখ্য সচিব অরবিন্দ পাধি এই কথা জানান। ওডিশার বলভদ্র জয়ভিক চাষা মিশনের মাধ্যমে এই অরগানিক চাল নিয়ে আসা হবে। অর্গানিক রাইস বা জৈব চাল হলো এমন চাল যা রাসায়নিক সার, কীটনাশক, বা জেনেটিকালি পরিবর্তিত বীজ (GMO) ব্যবহার না করে উৎপাদন করা হয়। এই চাল সম্পূর্ণভাবে প্রাকৃতিক পদ্ধতিতে, মাটির উর্বরতা বজায় রেখে চাষ করা হয়। সহজ ভাষায় বললে, 'অরগানিক রাইস' এমন এক ধান, যা প্রকৃতির সঙ্গে বন্ধুত্ব রেখে চাষ করা হয়। প্রসঙ্গত, ২০২৬ সালের ১৬ জুলাই পুরী সহ গোটা বিশ্বে রথযাত্রা পালিত হবে।
কটকে চলছে পুরীর জগন্নাথমন্দিরের জন্য হতে চলা জৈব বা অর্গানিক ধান চাষ
ওড়িশার কটকের নিয়ালি ও কোরাপুট জেলার জেইপুরে কৃষকেরা এখন ব্যস্ত জৈব বা অর্গানিক ধান চাষে। এই ধান সাধারণ বাজারে বিক্রি করা হবে না। এটি সরাসরি ভগবান জগন্নাথের 'কোঠা ভোগ' ও 'মহাপ্রসাদ'-এর জন্য ব্যবহার করা হবে। সরকারের 'শ্রী অন্ন অভিযান' ও 'বলভদ্র জৈবিক চাষা মিশন' প্রকল্পের আওতায় এই উদ্যোগ চলছে। এই দুটি প্রকল্পের মাধ্যমে সরকার জৈব ধানচাষে আগ্রহী কৃষকদের আর্থিক ও প্রযুক্তিগত সহায়তা দিচ্ছে। নির্বাচিত কয়েকজন কৃষক ইতিমধ্যেই এই বিশেষ ধানের চাষ শুরু করেছেন। ফসল কাটার পর তা সংগ্রহ করে সরাসরি পুরীর শ্রীমন্দিরে পাঠানো হবে, যেখানে তা ভগবান জগন্নাথের প্রসাদ তৈরিতে ব্যবহৃত হবে। সম্প্রতি শ্রী জগন্নাথ মন্দির প্রশাসন(SJTA)-এর প্রধান অরবিন্দ পাধি নিজে ওই কৃষিক্ষেত্র পরিদর্শন করেছেন এবং কৃষকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, এই উদ্যোগ শুধু ধর্মীয় নয়, পরিবেশবান্ধব ও স্বাস্থ্যকর খাদ্যচর্চার দিকেও এক গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ।
কীভাবে 'অরগানিক রাইস' চাষ করা হয়
'অরগানিক রাইস' হল এমন ধান যা সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক উপায়ে চাষ করা হয়। অর্থাৎ এতে কোনও রাসায়নিক সার, কীটনাশক বা জেনেটিক্যালি মডিফায়েড (GM) বীজ ব্যবহার করা হয় না। অরগানিক রাইস মানে 'রাসায়নিকমুক্ত ও প্রাকৃতিক ধান'। অরগানিক রাইসের কিছু বৈশিষ্ট্য: প্রাকৃতিক সার (যেমন গোবর, কম্পোস্ট, জৈব সার) ব্যবহার করা হয়। জমির উর্বরতা বজায় রাখতে ফসলের ঘূর্ণন করা হয়। জমি, জল ও পরিবেশ দূষণমুক্ত থাকে। ধানের স্বাদ, গন্ধ ও পুষ্টিগুণ বেশি থাকে। দীর্ঘমেয়াদে মানবস্বাস্থ্যের জন্য নিরাপদ।