Colonel Sofiya Qureshi (Photo Credit: YouTube/Screengrab)

দিল্লি, ৭ মে: অপারেশন সিদূঁর (Operation Sindoor) শেষ হওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের  (MEA) তরফে সাংবাদিক সম্মেলন করা হয়। যেখানে বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র বিক্রম মিস্রির সঙ্গে ছিলেন সেনা বাহিনীর কর্নেল সোফিয়া কুরেশি (Colonel Sofiya Qureshi )এবং বায়ুসেনার উইং কমান্ডার ব্যোমিকা সিং। পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে ঢুকে ভারতের সেনা বাহিনী কীভাবে একের পর এক জঙ্গি ঘাঁটি গুঁড়িয়ে দেয়, তার রেখাচিত্র দেশের মানুষের সামনে তুলে ধরেন সোফিয়া কুরেশি এবং ব্যমিকা সিং। অপারেশন সিদূঁরের ছবি ভারতবাসীর সামনে তুলে ধরেন সোফিয়া কুরেশি।

আরও পড়ুন: Operation Sindoor: শুধু POK নয়, পাকিস্তানে সরাসরি ঢুকে সিয়ালকোটে হিজবুলের মেহমুনা জ়োয়া ক্যাম্প ধ্বংস করল ভারত, দেখুন

কে এই কর্নেল সোফিয়া কুরেশি?

কর্নেল সোফিয়া কুরেশি ভারতীয় সেনা বাহিনীর প্রথম আধিকারিক, যাঁকে মহিলা হিসেবে একেবারে প্রথমের সারিতে নিয়ে আসা হয়েছে। বায়েকেমিস্ট্রিতে পোস্ট গ্র্যাজুয়েট করেন। এরপর তিনি চাকরিতে যোগ দেন। ২০০৬ সালে কঙ্গোতে ভারতের যে শান্তি প্রক্রিয়া চলছিল, সেখানে ছিলেন সোফিয়া কুরেশি। এর পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে রাষ্ট্রসংঘের শান্তি প্রক্রিয়ার যে অনবরত প্রয়াস, সেখানেও ভারতের প্রতিনিধি সোফিয়া কুরেশি।

ভারতীয় মহিলাদের উদ্দেশে সোফিয়া কুরেশিকে বলতে শোনা যায়, যদি সম্ভব হয়, ভারতীয় সেনা যোগ দিন।

২০১৬ সালে ভারতীয় সেনার প্রয়াত লেফটন্যান্ট জেনারেল বিপিন রাওয়াতের সময় পুরুষ এবং মহিলাদের ভেদাভেদ তুলে দেওয়া হয়। তারপরই সোফিয়া কুরেশিকে দেখা ভারতীয় সেনার অন্যতম প্রধান মুখ হয়ে উঠতে।

অপারেশন সিদূঁর

মঙ্গলবার রাত দেড়টা থেকে দুটোর মধ্যে পাকিস্তান অধিকৃত কাশ্মীরে হামলা চালায় ভারতীয় বায়ুসেনা। পরপর ভেঙে তছনছ করে দেওয়া হয় লস্কর-ই-তইবা, জইশ-ই-মহম্মদ এবং হিজবুল মুজাহিদিনের জঙ্গি ঘাঁটি। পাক অধিকৃত কাশ্মীরে পরপর ৯টি জঙ্গি ডেরা ভেঙে ফেলে বায়ুসেনা এবং ভারতীয় সেনা বাহিনী একযোগে।

শুধু পাক অধিকৃত কাশ্মীরেই নয়, পাকিস্তানেও ঢুকে পড়ে বায়ুসেনার যুদ্ধ বিমান। যেখানে পাকিস্তানের সিয়ালকোটে অবস্থিত মেহমুনা জ়োয়া ক্যাম্পেও হানাদারি চালায় ভারতীয় সেনা বাহিনী। অপারেশন সিদূঁরের পর পাকিস্তান জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। উপায়ন্তর না দেখে ভারতের হামলার ভয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরে জারি করা হয় মেডিকেল এমার্জেন্সি। সেই সঙ্গে বন্ধ করে দেওয়া হয় পেট্রোল পাম্পগুলিকেও।

জানা যায়, অপারেশন সিদূঁরের জেরে জইশ-ই-মহম্মদ প্রধান মাসুদ আজাহারের সদর দফতরে ক্ষেপনাস্ত্র হামলা চালানো হয়। যে হামলায় মাসুদ আজাহারের পরিবারের ১০ সদস্য নিহত হয় বলে জানায় জঙ্গি নেতা। সেই সঙ্গে মাসুদ ঘনিষ্ঠ আরও ৪ জনের মৃত্যু হয় বলে জানায় খোঁজ জইশের প্রধান।