
(Phidang-Sangkalan-Chungthang Road)। সাম্প্রতিক সময়ে তিস্তার জলোচ্ছ্বাস ও ধসে এই রাস্তায় ডেটখোলায় একটি সেতু মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। জরুরি ভিত্তিতে সেটি সারানো হয়। তবে এখনও বৃষ্টি কমেনি। সিকিম লাগোয়া এলাকা গুলিতে লাগাতার বৃষ্টির কারণে একদিকে যেমন তিস্তার ভয়াল রূপ চোখে পড়ছে তেমনি তিস্তার জলোচ্ছ্বাসের কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। তিস্তা বাজারের কাছে লিকুভীর এলাকায় তিস্তার গ্রাসে তলিয়ে গিয়েছে দশ নম্বর জাতীয় সড়কের বেশ কিছু অংশ। যার কারণে দশ নম্বর জাতীয় সড়কে ইতিমধ্যেই ভারী যান চলাচল বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুধুমাত্র ছোট গাড়ি এই এলাকা দিয়ে পার করানো হচ্ছে। এখন পর্যন্ত একমুখী যান চলাচল করছে লিখুভির এলাকা দিয়ে। আবহাওয়ার আরও অবনতি হলে তিস্তার গ্রাসে হয়তো ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের বেশ কিছু জায়গায় আবারো ধসের ছবি উঠে আসবে।
একদিকে সিকিম প্রশাসন (Sikkim Govt) অপরদিকে কালিম্পং প্রশাসনের পক্ষ থেকে গোটা বিষয়ের উপর নজর রাখা হয়েছে। বর্ষার আগে থেকেই ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে (NH 10) সচল রাখার জন্য কাজ শুরু করেছিল ন্যাশনাল হাইওয়ে কর্তৃপক্ষ। কিন্তু তিস্তার গতিপথ পরিবর্তন হওয়ার কারণে আবারো ১০ নম্বর জাতীয় সড়কে এই ধরনের ছবি উঠে আসছে। গত কয়েকবছর বর্ষার সময় একই ছবি উঠে আসছে দশ নম্বর জাতীয় সড়কে। ধ্বসের কারণে বিভিন্ন সময় বন্ধ রাখা হয় ১০ নম্বর জাতীয় সড়ক। এর ফলে শুধুমাত্র পর্যটক নয় স্থানীয়দেরও ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়তে হয়। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের বিকল্প রাস্তা হিসেবে ডুয়ার্স দিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। অন্যদিকে সেবক থেকে রঙ্গ পর্যন্ত রেললাইন তৈরির কাজও যথেষ্ট এগিয়েছে। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের বিকল্প রাস্তা তৈরীর কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করেছে এন এইচ কর্তৃপক্ষ।
জানা গেছে, শুক্রবার সকাল থেকে রাস্তাটি খোলা হয়েছে। হালকা যান চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে ওই রাস্তা দিয়ে গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।