শিক্ষানবিশ পূজা খেড়কারের প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট নির্ভুল রয়েছে। বুধবার স্পষ্ট জানিয়েছিল পুনের একটি সরকারি হাসপাতাল। আইএএস চাকরির জন্য শারীরিক প্রতিবন্ধীর যে শংসাপত্র পূজা জমা দিয়েছিলেন সেটি ২০২২ সালের অগাস্ট মাসে পিম্পরি চিঞ্চওয়াড পৌরসভার অধীনে যশবন্তরাও চৌহান মেমোরিয়াল হাসপাতাল (Yashwantrao Chavan Memorial Hospital) থেকে করানো হয়েছিল। আর সেই হাসপাতালের প্রধান ডাঃ রাজেন্দ্র ওয়াবেল জানিয়ে দেন, পূজাকে পরীক্ষা করেই এই সার্টিফিকেট দেওয়া হয়। এবং বিভিন্ন বিভাগে শারীরিক পরীক্ষা দিয়ে দেখা যায়, তাঁর বাঁ পায়ের হাঁটুতে ৭ শতাংশ অক্ষমতা রয়েছে। সেই হিসেবেই তাঁকে ওই শংসাপত্র দেওয়া হয়। যদিও সেই অক্ষমতার কারণে তাঁর হাঁটাচলাতে কোনও সমস্যা হবে না বলেও স্পষ্ট জানায় হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
তবে চিকিৎসক ওয়াবেল বলেন, "এই ৭ শতাংশ অক্ষমতা দেখিয়ে কেউ চাকরি পেতে পারেন না। কারণ এটা কোনও সরকারি নিয়ম নয়। ফলে পূজা খেড়কার কীভাবে ওই সার্টিফিকেট দেখিয়ে চাকরি পেলেন তা তদন্তকারী আধিকারিকরা দেখবেন। গত সপ্তাহে পুনের কালেক্টর অফিস থেকে আমার সঙ্গে এই বিষয়ে যোগাযোগ করা হয়। অর্থোপেডিক এবং ফিজিওথেরাপি বিভাগের চিকিৎসকরা পূজা খেড়কারের রিপোর্ট নিয়ে আমাকে দেখায়। আমি সেটা কালেক্টর অফিসে পাঠিয়ে দিই"। প্রসঙ্গত, পূজা এই হাসপাতাল ছাড়াও ২০১৮ ও ২০২১ সালের দুটি প্রতিবন্ধী সার্টিফিকেট পেশ করেছিলেন। যেগুলি আহমেদনগর জেলা হাসপাতাল থেকে ইস্যু করা হয়েছিল। সেগুলিও এখনও তদন্ত করা হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০২৩-এর আইএএস ব্যাচের পূজা খেড়কারকে নিয়ে বিতর্কের অন্ত নেই। ট্রেনি হয়েও তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহারের একাধিক অভিযোগ উঠে আসছে। এমনকী তাঁর বিরুদ্ধে ভুয়ো সার্টিফিকেট দিয়ে চাকরি পাওয়ার মতন গুরুতর অভিযোগ উঠছে। যদিও এই যাবতীয় অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করছে পূজা। অন্যদিকে, কৃষকদের বন্দুক দেখিয়ে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার হয়েছে পূজার মা মনোরমা খেড়কার।