ছবিটি প্রতীকী

কাঞ্চিপুরম, ৮ ডিসেম্বর: তামিলনাড়ুর সরকারি অফিসে নেই কোনও শৌচালয়। যার জেরে বাধ্য হয়ে অফিসের সামনের কোনও বাড়িতে কিংবা বিল্ডিংয়ে যেতে হত শরণ্যা এবং অন্যান্য মহিলা কর্মীদের। অন্যান্যদিনের মত শনিবারও শৌচকার্য করতে গিয়ে অফিসের সামনের একটি বিল্ডিংয়ের সেপটিক ট্যাঙ্কে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল ২৪ বছরের শরণ্যার। কাঞ্চিপুরম কৃষি দফতরের ওয়ারহাউজ ম্যানেজার পদে কর্মরত ছিলেন তিনি। রিপোর্ট অনুযায়ী, অফিসের সামনে থাকা একটি নির্মাণরত বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কে পড়ে যান তিনি। সেপটিক ট্যাঙ্কটি টিনের আস্তরণ দিয়ে ঢাকা ছিল, সেটি সরাতে গিয়েই বেকায়দায় ট্যাঙ্কের মধ্যে পড়ে গিয়ে মৃত্যু হয় শরণ্যার।

শনিবার শরণ্যা কাজ করতে করতে একাই অফিস থেকে বেরিয়েছিলেন শৌচালয়ের খোঁজে। ৩০ মিনিট কেটে গেলেও শরণ্যা না ফেরায় চিন্তিত হয়ে পড়েন অফিসের অন্যান্য মহিলা কর্মীরা। এরপরই সেই নির্মীয়মান বাড়ির সেপটিক ট্যাঙ্কের সামনে শরণ্যার মহিলা সহকর্মীরা উদ্ধার করেন তাঁর জুতো। এরপর দ্রুত সেপটিক ট্যাঙ্ক থেকে শরণ্যাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকেরা। নিউজ মিনিটকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে শরণ্যার মা জানান,"ও আমাকে হামেশাই বলত যে ওদের অফিসে কোনও টয়লেট নেই। যার জন্য খুব সমস্যায় পড়তে হত ওকে। আমি ওকে অফিসটা ছাড়তেও বলেছিলাম। কিন্তু তার আগেই এমন সর্বনাশ হয়ে গেল।"

কৃষিসচিব গগনদীপ সিং বেদি শরণ্যার পরিবারের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়ে ঘটনাটিকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দেন তিনি। ইতিমধ্যেই তামিলনাড়ু সরকারের তরফে মেয়েটির পরিবারকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ব্যাপারে ভাবনাচিন্তা চলছে। যদিও বেদির কথায়, "সরকারের তরফে গত বছর প্রতিটি সরকারি আধিকারিককে অফিসে স্যানিটেশনের বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয়। কিন্তু শোনা যাচ্ছে, এখনও পর্যন্ত বেশ কিছু অফিসে নেই শৌচালয়। জেলা প্রশাসককে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।"