নতুন দিল্লি, ৯ ডিসেম্বর: মঙ্গলবার রাতে সারা ভারত কিষাণ সভার নেতা হান্নান মোল্লার সঙ্গে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর (Amit Shah) বৈঠকে কোনও সমাধান সূত্র বেরলো না। কৃষকদের দাবি মেনে দুটি কৃষি আইন সংশোধন হতে পারে। কিন্তু কোনওভাবেই সাম্প্রতিক কালে গৃহীত কৃষি আইন প্রত্যাহার করবে না কেন্দ্র। বরং সংশোধন সংক্রান্ত কতগুলি বিষয় আজ বুধবার কৃষকদের কাছে পাঠানো হবে। সিঙ্ঘু সীমান্তে তানিয়েই নিজেদের মধ্যে আলোচনায় বসবেন কৃষকরা। তবে বুধবার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে যে প্রস্তাবিত বৈঠকের কথা ছিল তা বাতিল হয়ে গিয়েছে। আন্দোলনকারী কৃষক নেতারা জানিয়েছেন, সরকার নয়া কৃষি আইনগুলি বাতিল করলে খুব ভালো নাহলে বৃহত্তর আন্দোলন শুরু হবে। আরও পড়ুন-Bharat Bandh: আন্দোলনরত কৃষকদের ডেকে পাঠালেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, সন্ধে ৭টায় হবে বৈঠক
রাজধানীকে দেশের অন্যান্য শহর থেকে বিচ্ছিন্ন করে দেবেন আন্দোলনকারী কৃষকরা। কেন্দ্রে সঙ্গে কৃষক নেতাদের একের পর এক বৈঠকেও মিলছে না সমাধান সূত্র। অনেকেই আসায় বুক বেঁধেছিলেন বুধবারের বৈঠক নিয়ে। তবে মঙ্গলবারে সেই বৈঠকের বীজ সমূলে উৎখাত হয়েছে। মঙ্গলবার ১৩ কৃষক ইউনিয়নের নেতার সঙ্গে বৈঠক হয় শাহের। প্রথমে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বাসভবনে এই বৈঠক হওয়ার কথা থাকলেও পরে পুসা এগ্রিকালচারাল ইনস্টিটিউট ক্যাম্পাসে এই বৈঠক হয়েছে। অনেক নেতাই এই বৈঠকে যোগ দিতে পারেননি। ফলে কৃষক নেতাদের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ তৈরি হয়।
কৃষকরা কিছুতেই কৃষিতে কর্পোরেটের প্রবেশ মেনে নিতে পারছেন না। কেন্দ্রের মত কৃষকদের উৎপাদিত ফসল তাঁরাই সোজাসুজি কর্পোরেট বেচে দেবেন। সেখানে মাঝখানের কোনও লোক থাকবে না। কিন্তু এ নিয়ম চালু হলে ফসল বিক্রি সংক্রান্ত কাজে যুক্ত অন্যান্য ব্যক্তিরা কর্মহীন হয়ে পড়বে। সরকার কিছুতেই এই আইন প্রত্যাহার করবে না। আর কৃষকরা কোনও ভাবেই নিজেদের দাবি ছাড়বেন না। এদিকে দিনের পর দিন সিঙ্ঘু সীমান্তে আন্দোলন চলায় সাধারণ মানুষ হয়রানিতে পড়ছে। আন্দোলনরত কৃষকরা সাধারণমানুষকে বিপাকে ফেলতে চান না। তাই সিঙ্ঘু সীমান্ত থেকে আন্দোলনক্ষেত্র দিল্লির রামলীলা ময়দানে সরিয়ে আনতে চান। ইতিমধ্যেই এনিয়ে সরকারকে তাঁরা জানিয়েছেন। তবে সেই সংক্রান্ত কোনও উত্তর এখনও আসেনি। দিনে দিনে সরকারি আইনের বিরুদ্ধে আরও আন্দোলন জোরদার হচ্ছে। বিভিন্ন বিরোধী দলের যোগদান কৃষি আন্দোলনকে আরও শক্তিশালী করেছে।