তেহরান: অসুস্থ হয়ে পরবেন বলে জীবনে কোনওদিন স্নান করেননি। কিন্তু, শেষ রক্ষা হল না। কয়েকমাস আগেই গ্রামবাসীরা জোর করে স্নান (first bath) করিয়ে দিয়েছিলেন তাঁকে। আর তারপরই মারা গেলেন বিশ্বের সবথেকে অপরিচ্ছন্ন মানুষের (dirtiest man in the world) তকমা পাওয়া আমু হাজি (Amou Haji)। তাঁর মৃত্যুর খবর সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তেই মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম সূত্রে জানা গেছে, ইরানের দেজগাহ (Dejgah) গ্রামে বাস করতেন আমু হাজি। যদিও এটা তাঁর আসল নাম নয় বলেই জানা গেছে। গ্রামের বয়স্ক মানুষরা অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় থাকার জন্য তাঁকে এই নাম দিয়েছিলেন। ওই গ্রামের স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, জীবনে কোনওদিন তাঁকে স্নান করতে দেখেনি কেউ। আসলে আমু হাজির ধারণা ছিল, স্নান করলেই অসুস্থ হয়ে পরবেন তিনি। তাই স্নান যেমন করতেন না তেমনি খেতেন না টাটকা খাবারও। বাসি ও পচা খাবার এবং পশুর শিং থেকে বানানো পাইপ দিয়ে ধূমপান করতে দেখা যেত তাঁকে।

দেজগাহ গ্রামের প্রবীণ বাসিন্দাদের কথায়, যুবক বয়সে মানসিক আঘাত পাওয়ার পর থেকেই এভাবে জীবনযাপন করতেন হাজি। গ্রামের একপ্রান্তে মাটিতে গর্ত করে তার মধ্যেই বসবাস করতেন। বাধ্য হয়ে তাঁকে ইটের বাড়ি বানিয়ে দিয়েছিলেন গ্রামবাসীরা।  ২০১৩ সালে তাঁর এই অদ্ভূত জীবন নিয়ে একটি ছোট তথ্যচিত্রও তৈরি হয়েছিল। যার নাম ছিল, "দ্য স্ট্রেঞ্জ লাইফ অফ আমু হাজি" (The Strange Life of Amou Haji) ।

কয়েকমাস আগে দেজগাহ গ্রামের বাসিন্দারা তাঁকে একটি বাথরুমে নিয়ে গিয়ে ভালো করে পরিষ্কার করে দেন। আর তার কয়েকমাসের মধ্যেই মৃত্যু হল ৯৪ বছরের আমু হাজির।