বালুরঘাট: যতদিন যাচ্ছে স্মার্টফোন (Smartphone) ও ইলেকট্রনিক্স গেজেট হাতে পাওয়ার জন্য মরিয়া হয়ে উঠছে একশ্রেণীর মানুষ। পৃথিবীর অন্য কোনও বিষয়ের প্রতি তাদের নজর থাকছে না। এই প্রবণতা সব থেকে বেশি দেখা যাচ্ছে বয়ঃসন্ধি পার করা কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে। বাড়ির লোকের কাছে আবদার করে না পেলে অন্য রাস্তা নিচ্ছে তারা। যার মধ্যে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে আখেরে ক্ষতি হচ্ছে তাদের। বুধবার এমনই একটি ঘটনার কথা শোনা গেল দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাটে (Balurghat)। স্মার্টফোন কেনার জন্য ব্লাড ব্যাঙ্কে গিয়ে নিজের শরীরের রক্ত (Blood) বিক্রি (Sell) করতে চাইল ১৫ বছরের এক কিশোরী (Minor Girl)।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত সোমবার ১৫ বছরের এক কিশোরী বাড়িতে টিউশন পড়তে যাচ্ছি বলে সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পরে। তারপর দক্ষিণ দিনাজপুরের তপন এলাকা থেকে বাস ধরে ৩০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত জেলাসদর বালুরঘাটে পৌঁছয়। তারপর সোজা পৌঁছে যায় হাসপাতালে (Hospital)। সেখানে গিয়ে রক্ত বিক্রির কথা বলতেই চোখ কপালে ওঠে হাসপাতালের কর্মীদের। সঙ্গে সঙ্গে মেয়েটিকে বসিয়ে রেখে তাঁরা খবর পাঠান চাইল্ড লাইনে। পাশাপাশি ওই কিশোরীকে প্রশ্ন করে তাঁরা জানতে পারেন মেয়েটি অনলাইনে ৯ হাজার টাকা দামের একটি স্মার্টফোনের অর্ডার দিয়েছে। তার দাম মেটানোর জন্য নিজের রক্ত বিক্রি করতে চাইছিল সে।
এপ্রসঙ্গে বালুরঘাট জেলা হাসপাতালের একজন কর্মী জানান, সকাল ১০টার আগেই মেয়েটি ব্লাড ব্যাঙ্কে (Blood Bank) চলে এসেছিল। সবাই ভাবে হয়তো অন্যদের মতোই রক্ত নিতে এসেছে সে। কিন্তু, পরে সে নিজের রক্ত বিক্রি করতে চায় জানালে সবাই চমকে ওঠে। কারণ এত ছোট বয়সী কারও থেকে রক্ত নেওয়ার নিয়ম নেই। মেয়েটি প্রশ্ন করতে সে রক্ত বিক্রির টাকা দিয়ে স্মার্টফোন কেনার বিষয়টি জানায়। এরপরই চাইল্ড লাইনের আধিকারিকদের খবর দিয়ে তাঁদের সাহায্যে মেয়েটিকে বুঝিয়ে তার বাবা-মায়ের হাতে তুলে দেওয়া হয়।