
দীঘা, মন্দারমণি কিংবা তাজপুর—এই সব সমুদ্র সৈকতের নাম উঠলেই চোখের সামনে ভেসে ওঠে মানুষের ভিড়, দোকানপাট, কোলাহল। কিন্তু যদি আপনি প্রকৃত নির্জনতা ও শান্তির খোঁজে সমুদ্রপারে যেতে চান, তাহলে ‘বগুড়ান জলপাই’ (Baguran Jalpai) আপনার জন্য আদর্শ গন্তব্য হতে পারে। পশ্চিমবঙ্গের পূর্ব মেদিনীপুর জেলার এক শান্ত, কম পরিচিত অথচ অপরূপ সৌন্দর্যে ঘেরা এই সমুদ্র সৈকত এখনো পর্যটকদের মূল ভিড়ের বাইরে রয়ে গেছে।২-৩ হাজার টাকা বাজেটে দারুন জায়গা।
কী দেখবেন:
বগুড়ান জলপাই-এর প্রধান আকর্ষণ হলো এখানকার লাল কাঁকড়া। সৈকতের বালুচরে হাজার হাজার লাল কাঁকড়া ছুটে বেড়ানোর দৃশ্য সত্যিই মনমুগ্ধকর। সূর্যাস্তের সময় এই কাঁকড়ার দল যখন লাল আভার সঙ্গে মিশে যায়, তখন দৃশ্যটা যেন কোনো ছবির মতন। এছাড়া সমুদ্রের ঢেউ এখানে তুলনামূলক শান্ত, এবং সমুদ্রতট অনেকটাই পরিষ্কার ও ফাঁকা, যা নিরিবিলিতে সময় কাটানোর আদর্শ পরিবেশ তৈরি করে।
কিভাবে যাবেন:
কলকাতা থেকে বগুড়ান জলপাই পৌঁছাতে আপনাকে প্রথমে কাঁথি পর্যন্ত ট্রেন বা বাসে যেতে হবে। কাঁথি থেকে লোকাল টোটো বা গাড়ি ভাড়া করে সহজেই পৌঁছে যাবেন বগুড়ান জলপাই। দীঘার তুলনায় পথ কিছুটা দুর্গম হলেও, প্রকৃত ভ্রমণপ্রেমীদের কাছে এই সামান্য কষ্ট অনেক বড় পুরস্কার নিয়ে আসে।
কোথায় থাকবেন:
এখানে পর্যটনের বিশেষ হোটেল এখনো গড়ে ওঠেনি, তবে কিছু স্থানীয় হোমস্টে ও গেস্ট হাউস আছে যারা সাধ্যের মধ্যে থাকা ও খাওয়ার সুব্যবস্থা করে দেয়। আগে থেকে যোগাযোগ করে বুকিং করে নিলে সুবিধা হয়। আর নিরিবিলি পরিবেশে রাত কাটানোর এই অভিজ্ঞতা শহুরে কোলাহল থেকে মুক্তির এক অসাধারণ উপলক্ষ। যদি আপনি চান একান্তে কিছুটা সময় কাটাতে, প্রকৃতির সান্নিধ্যে থাকতে, আর চোখের সামনে হাজার হাজার লাল কাঁকড়ার নৃত্য দেখতে—তাহলে বগুড়ান জলপাই আপনার জন্যই অপেক্ষা করছে।