স্ত্রীর সঙ্গে ঝগড়া করে চার সন্তানকে খালে ফেলে দেয় স্বামী। চার জনের মধ্যে তিন জনকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। পাঁচ বছরের সন্তানের খোঁজ এখনও মেলেনি। চার সন্তানকে মৃত্যুর মুখে ঠেলে ফেলার অভিযোগে গেফতার বাবা।
পুলিশ সূত্রে খবর, ৩০ ফুট উঁচু ব্রিজের উপর থেকে চার সন্তানকে নীচে খালে ফেলে দেয় বাবা। ১২ বছরের মেয়ে কোনরকমে সাঁতার কেটে নিজের দুই ভাই বোনকে উদ্ধার করেছে সে। কিন্তু ছোট জনের খোঁজ এখনও পাওয়া যায়নি। অভিযুক্ত পুষ্পেন্দ্র কুমার পারিবারিক অশান্তির জেরে স্ত্রীকে তাঁর বাপের বাড়িতে রেখে আসেন। ফেরার পথে সে তাঁর চার সন্তানকে বলে, তাঁদের মেলা দেখাতে নিয়ে যাবে। এই বলে ব্রিজের উপর দাঁড়িয়ে সনু (১৩), প্রভা (১২), কাজল (৮), হেমলতা (৫) চার সন্তানকে ১৫ ফুট গভীর খালে ঠেলে ফেলে দেয়।
আরও পড়ুনঃ গভীর রাতে রান্নার সিলিন্ডার বিস্ফোরণ, দগ্ধে মৃত্যু ঠাকুমা এবং নাতনির
প্রভা সাঁতার কেটে বোন কাজল এবং দাদা সনুকে টেনে তোলে। এরপর আশেপাশের লোক ডেকে ছোট বোন হেমলতাকে উদ্ধারের জন্যে সাহায্য চায়। পুলিশকে সনু জানায়, এদিন তাঁদের বাবা মেলা দেখাতে নিয়ে যাবে বলে একটি অটো ডেকে আনেন। মেলা দেখতে যাওয়ার আনন্দে ভালো পোশাক পরে তৈরি হয়ে যায় তাঁরা। অটোয় চেপে যাওয়ার সময় একটা ব্রিজের উপর দাঁড় করায় গাড়ি। খাল দেখানোর জন্যে অটো থেকে নামতে বলে তাঁদের পাঁচ ভাই বোনকে। ব্রিজের একদম ধারে এসে দাঁড়াতে বলে তাঁদের বাবা। এরপর সনু যখন বাবাকে জিজ্ঞাসা করে, এই খালের গভীরতা কত, ঠিক সেই সময়েই তাঁদের ঠেলে ফেলে দেওয়া হয়।
অভিযুক্ত পুষ্পেন্দ্র কুমার দিন মজুরের কাজ করেন। পুলিশের জেরার নিজের অপরাধ স্বীকার করেছে সে। ভারতীয় দণ্ড বিধির অধীনে ৩০৭ এবং ৩৬৩ ধারায় মামলা দায়ের হয়েছে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে।