আগ্রা, ১৬ মার্চঃ বন্ধুর বাবার কাছে যৌন হেনস্থার শিকার (Rape) নাবালিকা। লজ্জায় গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা (Suicide) ১৪ বছরের মেয়ের। মৃতার অটোপসি রিপোর্টে স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে, ধর্ষণের শিকার হয়েছিল সে। অভিযুক্তের বিরুদ্ধে থানায় ধর্ষণের মামলা দায়ের করা হয়। গ্রেফতার হয়েছে উত্তরপ্রদেশের (Uttar Pradesh) অভিযুক্ত।
পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত ব্যক্তির নাম রঘুবেন্দ্র সিং। বয়স ৪৫। আত্মহত্যার দিন বহুবার নির্যাতিতাকে ফোন করেছিলেন তিনি। মৃতার ফোনের কল হিস্ট্রিতে দেখা গিয়েছে, বিগত কিছু দিন ধরে লাগাতার নির্যাতিতাকে ফোন করেছেন তিনি। কী উদ্দেশ্য নিয়ে তিনি নির্যাতিতাকে ফোন করতেন তা এখনও স্পষ্ট নয়।
মৃত মেয়ের বাবা পুলিশকে জানায়, তাঁদের মেয়ের ধর্ষণের কথা আগে থেকেই জানতেন তাঁরা। মেয়ে নিজে তাঁদের জানিয়েছিল সেই কথা। কিন্তু মেয়ের ভবিষ্যতের কথা ভেবে কাউক কিছু জানায়নি তাঁরা। মেয়ে সারাদিন বাড়িতে নিজেকে সকলের থেকে দূরে রাখত। কারুর সঙ্গে সেভাবে কথা বলত না। ঘটনার দিন বাবা মা দুজনেই কাজে বেরিয়ে যাওয়ার সুযোগ নিয়ে গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে পড়ে সে। বাড়ি ফিরে মেয়ের ঝুলন্ত দেহ দেখে কান্নায় ভেঙে পড়েন বাবা মা। খবর দেওয়া হয় পুলিশকে। পুলিশ এসে দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। সেই রিপোর্টেও উল্লেখ করা ছিল, মৃতা ধর্ষণের শিকার হয়েছিল।
পুলিশ জানিয়েছে, মৃতার অটোপসি রিপোর্টের ভিত্তিতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে পকসো আইন (POCSO ACT), ভারতীয় দণ্ডবিধির অধীনে ৩৭৬ (ধর্ষণ), এবং ৩০৬ (আত্মহত্যার প্ররোচনা) ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযোগের ভিত্তিতে আদালত অভিযুক্তকে হাজতবাসের নির্দেশ দিয়েছে।