বারাবাঁকি, ২ জুনঃ স্বামীর সঙ্গে সংসার করতে নারাজ মেয়ে। তাই শ্বশুর বাড়িতে ফিরতে না চাওয়ায় মেয়েকে খুন করলেন খোদ বাবা মা। উত্তরপ্রদেশের (Uttar Prades) বারাবাঁকি জেলায় ২০ বছরের মেয়েকে খুন করার অভিযোগ উঠেছে তাঁর বাবা-মায়ের বিরুদ্ধে। খুনের ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতের বাবা মা প্রথমে পুলিশকে জানায় তাঁদের মেয়ে নিখোঁজ। এরপর যখন দুজনকে আলাদাভাবে পুলিশ জেরা করে তখন দুজনের বয়ানে অসঙ্গতি মেলে। তাঁদের দিকে পুলিশের সন্দেরের তীর আরও মজবুত ভাবে গেঁথে যায়।
অভিযুক্ত গুড়িয়া এবং শিবকুমারকে চাপ দিতেই তাঁরা পুলিশের কাছে নিজেদের অপরাধ স্বীকার করেন। মেয়েকে খুনের ঘটনায় বাবা মায়ের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মামা উপেন্দ্র প্যাটেল। তিনজনকেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে আরও খবর, গ্রাম থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে একটি খালে মেয়ের মৃতদেহ ভাসিয়ে দিয়েছেন বলে পুলিশি জেরায় স্বীকারোক্তি বাবা-মায়ের। সেখানেই খোঁজ চলছে মৃতদেহের। তরুণীর মরদেহ মেলা মাত্রই তাঁর বাবা, মা, মামা ৩ জনের বিরুদ্ধে অপহরন, খুন এবং খুনের প্রমাণ লোপাটের চেষ্টার মামলা দায়ের হবে।
প্রাথমিক তদন্তে পুলিশ জানতে পেরেছেন, গত ২ মে বিবাহ হয়েছিল গুড়িয়া এবং শিব কুমারের মেয়ের। কিন্তু বিয়ের এক সপ্তাহের মধ্যে মেয়ে বাপের বাড়ি ফিরে আসেন। বাবা-মা বহু বোঝানোর পরেও শ্বশুর বাড়ি ফিরতে চায়নি তরুণী। এরপরেই স্বামী শিব কুমার এবং ভাই উপেন্দ্রর সঙ্গে মিলে মেয়েকে খুন করার পরিকল্পনা করেন মা। গত ২৫ মে মেয়েকে খুন করে গ্রাম থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে সারদা খালে ভাসিয়ে দেয় মেয়ের মরদেহ।