লখনয়, ১ সেপ্টেম্বরঃ যোগী রাজ্যে আবারও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে জাতপাত নিয়ে ভেদাভেদ। ধর্ম নিয়ে শিক্ষকদের হেনস্থার জেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে উত্তরপ্রদেশ বারাবাঁকি জেলার ১৪ বছরের তরুণী। ছাত্রীর অপরাধ ছিল সে দরিদ্র পরিবার থেকে উঠে এসেছে। স্কুলের অন্যান্য পড়ুয়াদের মত উচ্চবর্ণের ছিল না সে। সেই নিয়ে ক্লাসের মধ্যে সহপাঠীদের সামনে শিক্ষকদের কটূক্তি, উপহাস শুনে অতিষ্ঠ হয়ে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ওই ছাত্রী।
জানা যাচ্ছে, গত ২৭ মে স্কুলে বেতন জমা দিয়েছিল মৃত পড়ুয়া। কিন্তু তাকে স্কুল যে চালান দিয়েছিল তাতে তার জমা দেওয়া টাকার চেয়ে কম অঙ্ক লেখা ছিল। তা নিয়ে প্রশ্ন করতেই শিক্ষকরা উলটে ছাত্রীর ধর্ম, জাত, পরিবারের আর্থিক অবস্থা নিয়ে হাসাহাসি শুরু করে। নানা কুমন্তব্য করতে থাকে। লজ্জায় বাড়ি ফিরে পরের দিন থেকে স্কুলে যাওয়া বন্ধ করে দেয় সে। এরপরে ৪ অগাস্ট বাড়িতে গলায় দড়ি দিয়ে আত্মহত্যা করেছে ১৪ বছরের স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী।
পরিবারের তরফে থানায় স্কুল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করতে চাইলেও সেই অভিযোগ প্রথমে গ্রহন করতে চাননি পুলিশ, এমনটাই জানিয়েছেন মৃতার মা। তিনি আরও জানান, ২০১৮ সালে তাঁর স্বামী মারা গিয়েছেন। অনেক কষ্ট করে দুই মেয়ের স্কুলের লেখাপড়া চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি। আত্মহত্যার আগে মৃতা একটি সুইসাইড নোট লিখে গিয়েছে। যাতে স্কুল শিক্ষক ওয়াসফি সহ আরও একজনের নাম উল্লেখ রয়েছে।
যদিও ওই শিক্ষকের পাল্টা অভিযোগ, ছাত্রীর 'চরিত্রে' দোষ ছিল। নিজের কুকর্মের ফলে মুখ ঢাকতেই এমন পদক্ষেপ নিয়েছে সে। স্কুলের প্রধান শিক্ষকও তাঁর স্কুল শিক্ষকদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
পরবর্তীকালে পুলিশ ঘটনার এফআইআর দায়ের করেছে। পুলিশ সূত্রে খবর, মৃতার মায়ের অভিযোগের ভিত্তিতে হয়রানি ও আত্মহত্যায় প্ররোচনার অভিযোগে শিক্ষকদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়েছে। ঘটনার তদন্ত চলছে।