বিশ্বের তাবড় রাষ্ট্রনেতাদের সঙ্গে আজ একই সারিতে তাঁর নাম। ইতিহাসের পাতা উল্টালে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের কারণে ভেসে ওঠে অ্যাডলফ হিটলারের নাম। সাল ১৯৪৩, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে লাখ লাখ হিহুদিদের হত্যা করা হয়েছিল নির্মমভাবে। সেই হত্যার কাহিনী আজও পড়লে শিউরে উঠতে হয়। জার্মানির নাৎসি বাহিনী শিশু-বৃদ্ধ-মহিলাদের নির্বিচারে খুন করে। প্রায় ৬ কোটি মানুষকে হত্যা করেছিল। ইতিহাসের পাতায় তাঁর নামের পাশে লেখা 'নাৎসিদের নেতা ও স্বৈরাচারী শাসক'। তাঁর জন্মের পর ১৩১ বছর পেরিয়ে গেছে। কিন্তু আজও তিনি ইতিহাসের পাতায় বিশ্বের স্বৈরাচারী শাসকের তালিকায় শীর্ষে তিনি।
১৮৮৯-এর ২০ এপ্রিল অস্ট্রিয়ার ছোট্ট গ্রাম ব্রনাউতে জন্মগ্রহণ করেন হিটলার। ছোটবেলা থেকেই তিনি ছিলেন বড্ড একগুঁয়ে, জেদি এবং রগচটা। ছোটবেলা থেকেই বাবার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কটা খুব একটা মধুর ছিল না। এদিকে মায়ের প্রতি ছিল অগাধ ভালবাসা। খুব অল্প বয়সেই মায়ের মৃত্য়ুর পর বাড়ি ছেড়ে ভিয়েনায় চলে যান। দিনমজুরের কাজ করে উপার্জন করতেন। আবার কখনও রং বিক্রিও করেছেন। ভিয়েনাতে থাকার সময় থেকেই ইহুদিদের সহ্য় করতে পারতেন না হিটলার। কেন এত ইহুদি বিদ্বেষ, সেই কারণ আজও স্পষ্ট নয়। ১৯১৪-য় প্রথম বিশ্বযুদ্ধে সেনাবাহিনীতে যোগ দেন। ১৯২০-তে তৈরি করেন নিজের রাজনৈতিক দল। মাত্র ৩ বছরেই প্রায় ৬০ হাজার সদস্য় যোগ দেয় এবং হিটলারের জনপ্রিয়তা ক্রমশ বাড়তে থাকে। জার্মানদের ইহুদি বিদ্বেষী করে তোলাই ছিল এই বাহিনী প্রধান কাজ। জার্মানদের কাছে একসময় হিটলার 'মহানায়ক' হলেও একটা সময় তাঁর অত্য়াচারে অতিষ্ট হয়ে ওঠে জার্মানরাই।
একাধিক মহিলার সঙ্গে সম্পর্ক ছিল হিটলারের। তবে কারওর সঙ্গেই সুখের সম্পর্ক ছিল না। এদের মধ্য়ে দু’জন আত্মহত্য়াও করেছেন। বিয়ে করেছিলেন ইভা ব্রাউনকে। তাঁরা একসঙ্গে আত্মহত্য়াও করেছিলেন। অনেকের মতে, হিটলার সমকামেও ছিলেন আসক্ত।