কলকাতা, ৩ সেপ্টেম্বর: আরও দূরন্ত বাড়ল জহর সরকার (Jawhar Sircar) ও তৃণমূল কংগ্রেসের (Trinamool Congress)। জানা যাচ্ছে, তৃণমূলের রাজ্যসভার সংসাদদের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ (WhatsApp Group) থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে জহর সরকারকে। এসএসসি নিয়োগ কেলেঙ্কারি (SSC Recruitment Scam) নিয়ে তাঁর সাম্প্রতিক মন্তব্যের জন্য রাজ্যসভার সাংসদ (Rajya Sabha MP) জহর সরকারকে এর আগে আক্রমণ করেছিল তৃণমূলের একাংশ। তাঁকে সাংসদ পদ ছেড়ে দেওয়ার কথাও বলা হয়। সম্প্রতি, একটি স্থানীয় চ্যানেলে দেওয়া সাক্ষাৎকারে অবসরপ্রাপ্ত আইএএস অফিসার এবং প্রসার ভারতীর প্রাক্তন সিইও বলেছিলেন যে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ঘনিষ্ঠ সহযোগী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুটি বাসভবন থেকে বিপুল পরিমাণ নগদ উদ্ধারের ঘটনায় তিনি সত্যিই হতবাক হয়ে যান। তিনি আরও বলেছিলেন যে নগদ উদ্ধারের পরে পরিবারের সদস্য, বন্ধুবান্ধব এবং শুভাকাঙ্ক্ষীরা তাঁকে তৃণমূলের সাংসদ পদ ছেড়ে দেওয়ার কথা বলেন। এনিয়ে তাঁর উপর প্রচুর চাপ ছিল।
এই মন্তব্যের পরেই সৌগত রায় ও তাপস রায়ের মতো সিনিয়র তৃণমূল নেতারা জহর সরকারের কড়া সমালোচনা করেন। তাঁরা জানিয়ে দেন যে এই সময়ে জহরের এই ধরনের মন্তব্য অযৌক্তিক। এই মন্তব্য করে তিনি পার্টি নেতৃত্বকে বিব্রতকর অবস্থায় ফেলেছেন। সৌগত রায় এটাও জানিয়ে দেন যে চাইলে সাংসদ পদ থেকে পদত্যাগ করতে পারেন জহর সরকার এবং তাঁর চলে যাওয়াতে দলের কোনও ক্ষতি হবে না। আরও পড়ুন: NGT Slaps Fine On Bengal Govt: বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় ব্যর্থতা, পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সাড়ে ৩ হাজার কোটি টাকা জরিমানা করল ন্যাশনাল গ্রিন ট্রাইব্যুনাল
এরপরেই দলের তরফে রাজ্যসভার সিনিয়র সদস্য সুখেন্দু শেখর রায় কথা বলেন জহর সরকারের সঙ্গে। সূত্রের খবর, সুখেন্দু শেখর রায়কে নিজের বক্তব্যের ব্যাখ্যা করেন জহর। তিনি জানিয়ে দেন যে তাঁর মন্তব্যগুলি দলের বিরুদ্ধে নয়, বরং রাজনীতিবিদদের দুর্নীতিতে জড়িত থাকার বিরুদ্ধে। সব শোনার পর মিডিয়াতে কোনও মন্তব্য করা থেকে বিরত থাকার জন্য জহর সরকারকে নির্দেশ দেন সুখেন্দু। কিন্তু এখন যেহেতু তৃণমূলের রাজ্যসভার সদস্যদের অভ্যন্তরীণ হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে সরকারকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে, তাই তৃণমূল থেকে তাঁর বিদায় একপ্রকার নিশ্চিত বলেই মনে করা হচ্ছে।