নতুন দিল্লি, ১৪ নভেম্বর: দিল্লির জহরলাল নেহরু বিশ্ববিদ্যালয়ে (JNU) স্বামী বিবেকানন্দর (Swami Vivekananda) মূর্তি ভাঙচুর। কে বা কারা এই কাজ করেছে তা জানা যায়নি। ক্যাম্পাসের মধ্যে এই ঘটনা ঘটায় তীব্র চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। সংবাদসংস্থা ANI টুইটারে যে ছবি পোস্ট করেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, স্বামী বিবেকানন্দের মূর্তিটি গেরুয়া কাপড়ে ঢাকা রয়েছে। মূর্তি ভাঙচুর ছাড়াও মূর্তির উপরে 'গেরুয়া', 'বিজেপি', 'জ্বলবে', 'ফ্যাশিজম নিপাত যাক'-এর মতো ইত্যাদি শব্দ লিখে দিয়েছে দুষ্কৃতীরা। কে বা কারা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত তার তদন্ত শুরু হয়েছে। স্বামীজির মূর্তিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের বাইরে ডানদিকে ছিল। জওহরলাল নেহরুর মূর্তির উল্টোদিকেই ছিল স্বামীজির মূর্তি।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ফি বৃদ্ধি নিয়ে আন্দোলনে নেমেছেন ছাত্র-ছাত্রীরা। বেশ কয়েকদিন আন্দোলন চলার পর গতকালই পিছু হটে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। ফি বৃদ্ধি নিয়ে পড়ুয়াদের লাগাতার আন্দোলনের জেরে কিছুটা নরম হতে দেখা যায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে। মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রকের সচিব আর সুব্রমনিয়াম ( R. Subrahmanyam) জানান, হোস্টেল ফি-সহ অন্য দাবি দাওয়া বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। এমনকি আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া (Economically Weaker Sections) পড়ুয়াদের জন্য বিশেষ প্রকল্প চালু করতে চলেছে। শিক্ষার্থীদের ব্যাপক বিক্ষোভের পরে, বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ হোস্টেল ফি বৃদ্ধির প্রস্তাব আংশিক ফিরিয়ে নিয়েছে। বুধবার বিশ্ববিদ্যালয়ের এগজিকিউটিভ কাউন্সিলের বৈঠকে ফি বৃদ্ধি ৩০ গুণ থেকে কমিয়ে ১০ গুণ করার সিদ্ধান্ত হয়। যদিও এই সিদ্ধান্তে খুশি নয় পডু়য়ারা। তাঁদের দাবি, বৃদ্ধির পুরোটাই প্রত্যাহার করে আগের হারেই ফি নিতে হবে।
নতুন সিদ্ধান্ত অনুযায়ী হস্টেলের রুম রেন্ট দাড়িয়েছে সিঙ্গল বেডের ক্ষেত্রে মাসিক ২০০ টাকা এবং ডাবল বেডের রুম শেয়ারের ক্ষেত্রে মাসিক ১০০ টাকা। অন্য যে সব ফি বৃদ্ধির ঘোষণা হয়েছিল, সেগুলিও অনেকটাই কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছেন কর্তৃপক্ষ। একই সঙ্গে আর্থিক ভাবে দুর্বল পড়ুয়াদের বিশ্ববিদ্যালয়ের তরফে সেই ফি-তে ছাড় দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে। যদিও সেই ছাড় কতটা, সেটা এখনও নির্দিষ্ট হয়নি। আরও পড়ুন: JNU: পিছু হটল জেএনইউ, বর্ধিত ফি খানিকটা প্রত্যাহার; পুরো প্রত্যাহারের দাবিতে অনড় পড়ুয়ারা
লোকসভা নির্বাচন পর্ব চলাকালীন কলকাতায় বিবেকানন্দ কলেজে ঈশ্বর চন্দ্র বিদ্যাসাগরের মূর্তি ভাঙচুর করে দুষ্কৃতীরা। যা জেরে সরগরম হয়ে ওঠে রাজ্য-রাজনীতি। বিজেপি-তৃণমূল একে অপরের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলে। লোকসভা নির্বাচন মেটার পর কলেজে নতুন একটি মূর্তি স্থাপন করে রাজ্য সরকার। তার আগে পূর্ব বর্ধমানে লেলিনের মূর্তিতে কালি লাগিয়ে দেয় দুষ্কৃতীরা।