পরিকল্পনা মাফিক সমস্ত কিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের জানুয়ারি মাসেই অযোধ্যার (Ayodhya) অস্থায়ী রামলালার মন্দির থেকে রামলালার মূর্তি নয়া রামমন্দিরে স্থাপন করা হবে। সূত্রের খবর, রামমন্দিরের গর্ভগৃহে রামলালার মূর্তি স্থাপনার সম্মান দেশের প্রধানমন্ত্রীক নরেন্দ্র মোদীকেই (Narendra Modi) দিতে চলেছেন শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্ট। সেই নিয়েই এখন জোর চর্চা চলছে সংবাদমাধ্যম জুড়ে। এরই মাঝে আরও এক চমক। অযোধ্যার নয়া রামমন্দিরে (Ayodhya Ram Mandir) রামলালার মাথায় সোনার মুকুট তুলে দিতে চান চাঁদাবাজি মামলায় অভিযুক্ত জেলবন্দী মুকেশ চন্দ্রশেখর (Sukesh Chandrashekhar)। জানা গিয়েছে, এই মর্মে শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্র ট্রাস্টের প্রধানের কাছে একটি দুই পৃষ্ঠার চিঠি লিখে সেই আর্জি জানিয়েছেন সুকেশ। তবে সুকেশের (Sukesh Chandrashekhar) সেই আর্জির প্রেক্ষিতে ট্রাস্টের পক্ষ থেকে এখনও কোন প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি।
চিঠিতে রামলালার জন্যে ওই মুকুটের পুঙ্খানুপুঙ্খ বিবরণ দিয়েছেন তিনি। জেলবন্দী সুকেশের পাঠানো চিঠি অনুসারে, রামলালার মূর্তির জন্যে তিনি যে মুকুটটি দান করতে চান তা ৯১৬.২৪ ক্যারট সোনা দিয়ে তৈরি। যার ওজন ১১ কেজি। সোনার ওই মুকুট থাকবে ১০১টি হিরে দিয়ে সজ্জিত। যাদের প্রত্যেকটির ওজন ৫ ক্যারট। মুকুটের কেন্দ্রে জ্বলজ্বল করবে একটি ৫০ ক্যারটের আকর্ষণীয় পান্না। দক্ষিণ ভারতের অন্যতম স্বনামধন্য জুয়েলার্সের বিশেষজ্ঞ নির্দেশনায় মুকুটটি ডিজাইন ও তৈরি করা হয়েছে। ওই জুয়েলার্সের বিশেষজ্ঞ নির্দেশনাতেই তিরুপতি বালাজি সহ বিভিন্ন পবিত্র মন্দিরের দেবদেবীরা সেজে উঠেছেন।
চিঠিতে সুকেশ উল্লেখ করেছেন, শ্রী রামের প্রতি তাঁর এবং তাঁর পরিবারের অটল ভক্তিই তাঁকে এই মহৎ কর্মটি করার জন্যে উৎসাহিত করেছে। রামলালার জন্যে তিনি যদি মুকুট দান করতে পারেন তাহলে তা তাঁর কাছে কোন স্বপ্নপূরণের চেয়ে কম কিছু নয়। তিনি এও জানিয়েছেন, ওই মুকুটের প্রয়োজনীয় বিল, রসিদ এবং মুকুট সম্পর্কিত শংসাপত্র সমস্ত কিছুই আইননি নির্দেশ নেমে তৈরি হবে। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে সোনার মুকুট তৈরির কাজ শেষ হবে বলে আশা করছেন তিনি।
আগামী বছর ২২ জানুয়ারি রামলালার মূর্তির অভিষেকের অনুষ্ঠানে তাঁর পাঠানো মুকুটটি স্থাপন করা হলে তিনি এবং তাঁর পরিবার কৃতজ্ঞ হবে বলেও জানান সুকেশ।