দেশের প্রথম সারির শিল্পপতি ছিলেন রতন টাটা (Ratan Tata)। হাতে টাকা, ক্ষমতা থাকলে কী কী করা যায় সেটা সাম্প্রতিককালে একাধিক শিল্পপতির জীবনযাপনে প্রতিফলিত হচ্ছে। সেখানে রতন টাটা কোটি কোটি টাকার মালিক হয়েও ছিল না বিন্দুমাত্র দ্বম্ভ। কখনও টাকা পয়সার জন্য নিজস্ব নীতি, আদর্শ বদলাননি। তবে স্বপ্ন ছিল বিয়ে করে সংসার ধর্ম করার। যদিও যৌবনকালে একাধিক বিয়ের প্রস্তাব আসে। এমনকী অল্পবয়সে তিনি যথেষ্ট সুর্দশন ও সুপুরুষ ছিলেন, ফলে প্রেমও করেছিলেন। তবে তাঁর জীবনে ৪ বার বিয়ে পাকাপাকি হওয়ার পরেও তা ভেস্তে যায়। যে কারণে পরবর্তীকালে বিয়ে না করারই সিদ্ধান্ত নেন রতন টাটা।

যদিও রতন টাটা কখনই ব্যক্তিগত বিষয় নিয়ে লুকোছাপা রাখেননি। ২০১১ সালে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি খোলামনে জানিয়েছিলেন তিনি কেন সারাজীবন অবিবাহিত থেকে গিয়েছেন। তিনি বলেছিলেন, তাঁর জীবনে চারবার বিয়ে ভেস্তে যায়। তাঁর জীবনে প্রথম প্রেম ছিলেন এক মার্কিন মহিলা। তখন তিনি স্থ্যাপত্য নিয়ে কর্নেল বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ছিলেন। ১৯৬০ সালের দিকে এই প্রেমপর্ব শুরু হয়। তবে ১৯৬২ সালে যখন ভারত ও চিনের মধ্যে যুদ্ধ পরিস্থিতি শুরু হয়, তখন তিনি ভারতে আসতে বাধ্য হয়েছিলেন। তিনি অবশ্য মহিলার পরিবারের সঙ্গে কথা বলেছিলেন যে তাঁকে বিয়ে করেই ভারতে নিয়ে যাবেন। কিন্তু পরিবার রাজি না হওয়ায় সম্পর্কে ইতি টেনে ভারতে ফেরেন রতন টাটা।

এছাড়া ষাটের দশকে এক অভিনেত্রীর প্রেমে পড়েছিলেন এই শিল্পপতি। বিয়ে করতেও চেয়েছিলেন। কিন্তু কোনও কারণে সেই সম্পর্ক বেশিদিন টেকেনি। তবে এই সম্পর্ক ভেঙে গেলেও দুজনের মধ্যে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক ছিল দীর্ঘদিন। দুজনই দুজনকে ভীষণভাবে সম্মান করতেন। এই অভিনেত্রী আর কেউ নন, ইনি হলেন সীমা গ্রেওয়াল। অভিনেত্রী লিখেছেন, 'সবাই বলছে আপনি চলে গিয়েছেন, কিন্তু এটা বিশ্বাস করা কঠিন, সত্যিই খুব কঠিন। বিদায় বন্ধু'। এদিন রতন টাটার মৃত্যুর খবর শোনামাত্রই সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে শোকপ্রকাশ করেন তিনি।