নয়া দিল্লি, ১৫ ডিসেম্বরঃ সংসদের অভ্যন্তরে ঢুকে রং হামলা চালিয়ে যে আতঙ্কের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল বুধবার, যার জেরে কয়েক শো কোটি টাকা খরচ করে গড়ে ওঠা নতুন ভবনের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন রয়েই যাচ্ছে। একদিকে লোকসভা কক্ষের অন্দরে ঢুকে দুই যুবকের স্প্রে রং দিয়ে হামলা আর অন্যদিকে বাইরে 'তানাশাহি নেহি চলেগা' স্লোগান তুলে বিক্ষোভ দেখায় দুই বিক্ষোভকারী। যাদের মধ্যে একজন মহিলা। গ্রেফতার হয়েছে ওই চারজনই। বুধবার রাতে গুরুগ্রাম থেকে গ্রেফতার হয় ঘটনায় পঞ্চম অভিযুক্ত ও মাস্টারমাইন্ড ললিত ঝা। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সংসদের ঘটনার পরেই রাজস্থানে পালিয়ে গিয়েছিল ললিত। পরে ফের দিল্লিতে ফিরে আসে। আর তখনই তাকে গ্রেফতার করে দিল্লি পুলিশ। সংসদের নিরাপত্তা লঙ্ঘনের মামলায় (Parliament Security Breach Case) দিল্লি পুলিশের বিশেষ সেল আরও দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে। তাঁরা দুজনই অভিযুক্তদের সঙ্গে যুক্ত বলে সন্দেহ পুলিশের। তাঁদের নাম মহেশ এবং কৈলাস। জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।
আরও পড়ুনঃ লোকসভায় নিরাপত্তা লঙ্ঘনকারী চার ধৃতের ৭ দিনের পুলিশ হেফাজত
দিল্লি পুলিশ সূত্রে খবর, সংসদে নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনার (Parliament Security Breach Case) ঠিক একদিন আগে ললিত ঝা (Lalit Jha) গুরুগ্রামে (Gurugram) অন্য অভিযুক্তদের নিয়ে একটা গোপন বৈঠক সারেন। সেখানে কীভাবে তাঁদের পরিকল্পনাকে বাস্তবায়িত করা হবে তা নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয় নিজেদের মধ্যে। প্রসঙ্গত, বুধবারের ঘটনায় ধৃতদের বৃহস্পতিবার দিল্লির আদালতে তুলে ১৫ দিনের পুলিশি হেফাজতের আবেদন জানানো হয়। বিচার বিবেচনা করে বিচারক ধৃতদের সাত দিনের জন্য দিল্লি পুলিশের হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেয়।