জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা (Photo: ANI)

নতুন দিল্লি, ১০ অক্টোবর: মুর্শিদাবাদের জিয়াগঞ্জে একই পরিবারের তিনজনকে খুনের ঘটনায় আসরে জাতীয় মহিলা কমিশন (National Commission for Women)। এই ঘটনায় রাজ্য সরকারের কড়া সমালোচনা করেছেন মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা (Rekha Sharma)। তাঁর বক্তব্য, এই ধরনের ঘটনা রোধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে না রাজ্য সরকার। এই ঘটনায় তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি (Mamata Banerjee) ও রাজ্য পুলিশের DG-কে চিঠি পাঠিয়েছেন বলেও জানিয়েছেন রেখা শর্মা।

বিজয়া দশমীতে মুর্শিদাবাদের (Murshidabad district) জিয়াগঞ্জে বাড়ির ভিতরে ঢুকে স্কুল শিক্ষক, তাঁর অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী ও ছেলেকে খুন করার অভিযোগ অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। মৃত স্কুল শিক্ষকের নাম বন্ধুপ্রকাশ পাল (৩৫), স্ত্রী বিউটি মণ্ডল পাল (৩০) ও তাঁদের বছর আটের ছেলে বন্ধুঅঙ্গন পাল। জিয়াগঞ্জ থানার কানাইগঞ্জ লেবুবাগান এলাকায় ঘটনাটি ঘটে। দশমীর দিন বেলা ১২টা নাগাদ তিনজনের ক্ষতবিক্ষত রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করা হয় বাড়ির ভিতর থেকে। ঘটনাকে ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। এদিকে বন্ধুপ্রকাশ পালকে তাদের সংগঠনের সদস্য বলে জানিয়েছেন রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের (RSS) পশ্চিমবঙ্গের সেক্রেটারি জিষ্ণু বসু (Jishnu Basu)।

বৃহস্পতিবার এনিয়ে কড়া প্রতিক্রিয়া দেন জাতীয় মহিলা কমিশনের চেয়ারপার্সন রেখা শর্মা। বিজেপি নেতা সম্বিত পাত্র-র একটি টুইট রিটুইট করে তিনি লেখেন, "ভয়াবহ ভয়াবহ অপরাধ এবং সবচেয়ে খারাপ ঘটনা। কর্তৃপক্ষ এ ধরনের ঘটনা বন্ধ করার জন্য কিছুই করেনি। আমি মুখ্যমন্ত্রী এবং DGP-কে লিখছি। যদিও পশ্চিমবঙ্গের জন্য এটি হাঁসের পিঠে জলের মতো। কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয় না।"  পরে তিনি চিঠি লেখেন মমতা ব্যানার্জি ও রাজ্য পুলিশের DG-কে। চিঠিতে এই ঘটনায় দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্ত  ছাড়াও শীঘ্রই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করতে বলেছেন তিনি।

এই সময় ডিজিটালের খবর অনুযায়ী একই পরিবারের তিনজনকে খুনের কারণ নিয়ে এখনও ধোঁয়াশা জারি রয়েছে। পুলিশ সূত্রে খবর, শিক্ষক বন্ধুপ্রকাশ পাল তাঁর গ্রাম সাগরদিঘির বারালা সাহাপুরে কয়েকজন প্রতিবেশীর কাছে টাকা ধার করেছিলেন। সেই টাকা আদায় করা নিয়ে বিবাদের জেরেই খুন কি, সেই সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। পাশাপাশি, শিক্ষকের জিয়াগঞ্জের বাড়ি থেকে উদ্ধার হয়েছে ডায়েরির একটি পাতা। সেখান থেকে পুলিশের অনুমান, শিক্ষকের সঙ্গে তাঁর স্ত্রীর সম্পর্কে টানাপোড়েন চলছিল। তাঁদের মাঝে কোনও তৃতীয় ব্যক্তি ছিলেন কিনা, তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ। ডায়েরির লেখা শিক্ষকের স্ত্রী বিউটিরই কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হচ্ছে। তবে খুনের ঘটনায় যে পরিচিত কেউই জড়িত, সে সম্পর্কে নিশ্চিত তদন্তকারীরা।