জয়পুর, ১৬ জুনঃ অস্ত্রোপচারের পর রোগীর দেহের মধ্যেই রয়ে গেল কাঁচি। চিকিৎসকের গাফিলতির জেরে মৃত্যু হল রোগীর। জয়পুরের ফর্টিস হাসপাতালের বিরুদ্ধে চিকিৎসায় গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন মৃত ব্যক্তির পরিবার। মৃতদেহ দাহ করার পর অস্থির সঙ্গে মিলেছে একজোড়া কাঁচি। এরপরেই হাসপাতালের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন পরিবার।
মৃত রোগীর পরিবারের দাবি, হার্টের অপারেশনের পর থেকেই রোগীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। ১২ দিনের মাথায় মৃত্যু হয় তাঁদের রোগীর। মৃতদেহ দাহ করার পর তাঁরা যখন শ্মশান ঘাট থেকে মৃতের অস্থি সংগ্রহ করতে যান তখন খেয়াল করেন অস্থির ছাই ভস্মের সঙ্গে রয়েছে একজোড়া কাঁচিও।
এরপরেই হাসপাতালে গিয়ে সবটা জানায় তাঁরা। কিন্তু রোগীর পরিবারের এই অভিযোগ কিছুতেই শিকার করে না হাসপাতাল। তাঁদের অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে বলে দাবি করে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। বাধ্য করে জয়পুরের ওই হাসপাতালের বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ দায়ের করেন মৃত রোগীর পরিবার।
মৃত ব্যক্তির নাম উপেন্দ্র শর্মা (৭৪)। অভিযোগে ছেলে কমল জানান, গত ২৯ মে শারীরিক অসুস্থতা নিয়ে বাবাকে ফর্টিস হাসপাতালে ভর্তি করান তিনি। পরের দিন ৩০ মে রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ তাঁর বাবাকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যাওয়া হয়। দীর্ঘ পাঁচ ঘণ্টার অস্ত্রোপচারের পর রাত দেড়টা নাগাদ রোগীকে কেবিনে দেওয়া হয়। ৩১ মে বিকেলে তাঁর বাবাকে হাসপাতাল থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বাড়ি আসার পর থেকেই রোগীর শরীর আরও খারাপ হতে থাকে বলে জানায় ছেলে। চিকিৎসকদের সঙ্গে যোগাযোগ করলে তাঁরা জানায়, আসতে আসতে সব ঠিক হয়ে যাবে।
১২ জুন রাত সাড়ে ৮টা নাগাদ মৃত্যু হয় ৮৪ বছরের উপেন্দ্র শর্মার। যদিও রোগীর পরিবারের এই অভিযোগ সম্পূর্ণ মিথ্যে এবং ভিত্তিহীন বলে পাল্টা অভিযোগ তুলেছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।