ইম্ফল, ২৫ জুলাইঃ অগ্নিগর্ভ মণিপুরে (Manipur) দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে গণধর্ষণের কাণ্ডে গ্রেফতার আরও এক অভিযুক্ত। ধৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ৭। আগামি ৩১ জুলাই পর্যন্ত ধৃতদের পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এদিকে দুই মহিলাকে নগ্ন করে রাস্তায় হাঁটানো এবং একই সঙ্গে গণধর্ষণের সঙ্গে যুক্ত অভিযুক্তদের মৃত্যুদণ্ড দেওয়া যায় কিনা তা খতিয়ে দেখছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংহ (Manipur CM N Biren
Singh)।
প্রায় তিন মাস ধরে উত্তর পূর্বের রাজ্যটিতে আগুন জ্বলছে। মেইতেই এবং কুকি দুই সম্প্রদায় নিজেদের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি তৈরি করেছে গোটা রাজ্যে। অশান্তির রাজ্যে ঘরবাড়ি ছেড়ে শান্তির খোঁজে বহু মানুষ পাড়ি দিয়েছেন অন্যত্র। জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল বহু বাড়ি। পুড়ে মরেছেন কত মানুষ। এরই মাঝে গত সপ্তাহে মণিপুরের কাংপোকপি জেলায় ঘটে যাওয়া এক নারকীয় ঘটনার ভিডিয়ো সামনে আসে (Manipur Viral Video)। দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে রাস্তা দিয়ে হাঁটানো হচ্ছে। তাঁদের ঘিরে রয়েছেন একদল জনতা। উত্তপ্ত জনতার চোখ এবং অবাঞ্ছিত হাত বারেবারে এসে পড়ছে কুকি সম্প্রদায়ের ওই দুই মহিলার শরীরে। হাঁটিয়ে তাঁদের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করা হয়েছে বলেও অভিযোগ।
দেশের এক রাজ্যের এমন জঘন্য ঘটনা দেখেও প্রতিবাদে টু শব্দ করেননি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi)। উত্তপ্ত মণিপুর (Manipur) প্রসঙ্গ নিয়ে আড়াই মাসের মৌনতা কাটিয়ে নারী নির্যাতনের এই ঘটনায় কেবল দুঃখ প্রকাশটুকুই করেছেন। বিজেপি শাসিত মণিপুরের পরিস্থিতি সামাল দেওয়া নিয়ে কোন সমাধানের রাস্তা এখনও দেখাননি। তাই মণিপুর নিয়ে মোদীর কাছে জবাব এবং সমাধান চেয়ে বিরোধীরা ধর্না দিয়েছেন সংসদ ভবনের বাইরে।
যদিও এই প্রসঙ্গে বিজেপি নেতা মন্ত্রীরা জানিয়েছেন, সংসদে মণিপুর নারী নির্যাতন নিয়ে আলোচনা হবে। কিন্তু একই সঙ্গে অন্যান্য রাজ্য যেমন পশ্চিমবঙ্গ, ছত্তিশগড়, বিহারে (মূলত বিজেপিবিরোধী রাজ্য) ঘটা নারী নির্যাতন নিয়েও কথা হবে। তবে বিজেপির এই প্রস্তাবকে অন্যান্য রাজ্যের দিকে প্রসঙ্গ ঘুরিয়ে মণিপুরকে খাটো কররা চেষ্টা বলেই মনে করছেন বিরোধীরা।