Arrest, Representational Images (Photo Credit: File Photo)

হায়দরাবাদ, ২১ জুলাই: ৪ বছরে ১৩ জন মহিলাকে বিয়ে (Marriage) করে শ্রীঘরে গেলেন এক ব্যক্তি। অন্ধ্রপ্রদেশের গুনটুরের বাসিন্দা ওই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে হায়দরাবাদের (Hyderabad) সাইবেরাবাদ পুলিশ (Cyberabad Police)। জানা গিয়েছে, আদাপা শিবশঙ্কর বাবু (Adapa Shivshankar Babu) নামের ওই ব্যক্তি তেলেঙ্গানা ও অন্ধ্রপ্রদেশের মোট ১৩ জন মহিলাকে বিয়ে করেন। তিনি একটি করে বিয়ে করতেন, তারপর টাকা ও অন্যান্য মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যেতেন। পুলিশ জানিয়েছে, ৩৫ বছর বয়সি ওই অভিযুক্ত ধনী ডিভোর্সি মহিলাদের টার্গেট করতেন। ম্য়াট্রিমনি সাইটগুলির মাধ্যমে ওই সব মহিলাদের বিয়ের প্রস্তাব দিতেন। এরপর জাল ডিভোর্স পেপার তৈরি করে নতুন করে জীবনের প্রতিশ্রুতি দিয়ে মহিলাদের সঙ্গে প্রতারণা করেন। আদাপা শিবশঙ্কর বাবুর নামে হায়দরাবাদ, রাচাকোন্ডা, সাঙ্গারেডি, গুন্টুর, বিজয়ওয়াড়া এবং অনন্তপুরে মামলা অভিযোগ জমা পড়ে।

এক মহিলা রামচন্দ্রপুরম থানায় অভিযোগ দায়ের করার এক সপ্তাহ পরে শিবশঙ্কর বাবুকে গ্রেফতার করা হয়েছে। মহিলা অভিযোগ করেছিলেন যে শিবশঙ্কর বাবু তাঁর কাছ থেকে ২৫ লাখ টাকা নগদ এবং ৭ লাখ টাকা মূল্যের সোনা নিয়েছিলেন, যা তিনি ফেরৎ দিচ্ছেন না। অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্তের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪২০ ধারার অধীনে একটি প্রতারণার মামলা রুজু করা হয়েছে। আরও পড়ুন: Gautam Adani Become 4th Richest Person: বিল গেটসকে পেছনে ফেলে বিশ্বের চতুর্থ ধনী হলেন গৌতম আদানি

মহিলা জানিয়েছেন যে একটি ম্যাট্রিমোনি সাইটের মাধ্যমে বাবু তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করেছিলেন। তিনি এও বলেছিলেন যে তাঁর বাবা-মা অনেক আগেই মারা গিয়েছেন এবং তিনি একটি নামী সফটওয়্যার ফার্মে ইঞ্জিনিয়ার হিসাবে ২ লাখ টাকা মাসিক বেতনে চাকরি করেন। রবিশঙ্কর এটাও জানিয়েছিলেন যে তিনি ডিভোর্সি, বর্তমানে একজন উপযুক্ত স্ত্রী খুঁজছেন। পরিচয়ে আশ্বস্ত হয়ে মহিলার বাবা-মা তাঁকে বাবুর সঙ্গে বিয়ে দেন। এরপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে যাওয়ার অজুহাতে বাবু শ্বশুর-শাশুড়ির থেকে ২৫ লাখ টাকা নেন। যদিও বেশ কয়েক মাস হয়ে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রে যাওয়ার বিষয়ে উচ্চবাচ্য না করাতে শ্বশুর-শাশুড়ি বাবুকে টাকা ফেরৎ দিতে বলেন। এরপর থেকেই বাবু এই প্রসঙ্গ উঠলেই এড়িয়ে যেতে থাকেন। অবশেষে শ্বশুর-শাশুড়ি রামচন্দ্রপুরম পুলিশের কাছে যান। জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ জানতে পারে বাবু ইতিমধ্যেই বিবাহিত। কারণ, অভিযুক্ত একজন মহিলাকে নিয়ে থানায় এসেছিলেন, যে তাঁর জামিনদার ছিলেন। পরে খোঁজখবর নিয়ে জানা যায় একই কলোনির আরেক মহিলাকেও বাবু বিয়ে করেছিলেন।

যদিও বাবু তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করেন। তিনি কারও কাছ থেকে কোনও টাকা নেননি বলে দাবি করেন। তবে প্রাথমিক তদন্তের পর তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিশ।