ভোপাল, ১৬ এপ্রিলঃ দু বছর আগে করোনায় (Corona Virus) মৃত্যু হয়েছিল কমলেশ পতিদারের। করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ওই ব্যক্তি। কিন্তু হাসপাতালেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে জানিয়ে দেয় চিকিৎসক। সেই মতো কাপড়ে মোড়া মৃতদেহ পরিবারের হাতে তুলে দেওয়া হয় হাসপাতালের তরফে। বছর ৩৫ এর কমলেশের শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন তাঁর পরিবার। কিন্তু দু বছর আগে মৃত্যু হওয়া কমলেশ হঠাৎই শনিবার সকালে বাড়ি ফেরেন। মৃত ব্যক্তিকে জীবিত দেখে চক্ষ চড়ক গাছ পরিবারের সদস্যের। নিজের চোখকে বিশ্বাস করতে পারছেন না কেউই।
শনিবার এক আজব ঘটনা ঘটল মধ্যপ্রদেশের (Madhya Pradesh) ধর জেলায়। দু বছর আগে মৃত্যু হওয়া এক ব্যক্তি যার শেষকৃত্য সম্পন্ন করেছে পরিবার সেই ব্যক্তি কীভাবে বেঁচে ফিরে আসতে পারেন! এই নিয়ে শোরগোল উঠেছে গোটা পাড়ায়।
এদিন ভোর ৬ টা নাগাদ করদকলা গ্রামে মাসির বাড়িতে দরজা ধাক্কা দেন কমলেশ। মৃত বোনপোকে জীবিত অবস্থায় দেখে নিজের চোখকেই বিশ্বাস করতে পারছিলেন না মাসির বাড়ির কেউই।
পুলিশকে কমলেশের এক মাসতুতো ভাই জানায়, ২০২১ সালে করোনা আক্রান্ত হওয়ায় গুজরাট (Gujarat) ভাদোদরার এক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল কমলেশকে। কিন্তু হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁর। ভাদোদরার হাসপাতাল থেকে কমলেশের মৃতদেহ নিয়ে তাঁর গ্রামে ফিরে শেষকৃত্য সম্পন্ন করেন। সেই মৃত ব্যক্তি কীভাবে জীবিত থাকতে পারেন তা নিয়ে উঠছে একাধিক প্রশ্ন। তবে কী কোভিড মৃতদেহদের কাপড়ে মোড়ানো হয় বলে অন্য কারুর মৃতদেহের সঙ্গে অদল বদল হয়েছিল কমলেশের!
তাহলে দুবছর ধরে কোথায় ছিলেন কমলেশ? কেনই বা এতো দিন তিনি ফেরেননি বাড়িতে?