মুম্বই, ২৪ মেঃ মায়ের তৃতীয় স্বামীর হাতে খুন হয়েছিলেন বলিউড অভিনেত্রী লায়লা খান (Laila Khan) সহ তাঁর পরিবারের আরও পাঁচ সদস্য। ১৩ বছর পর অভিযুক্ত পারভেজ তাককে মৃত্যুদণ্ডের সাজা শোনাল আদালত। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে পরিবারের পাঁচ সদস্য সহ অভিনেত্রী নিখোঁজ হন। প্রায় এক বছর পর ২০১২ সালের জুলাই মাসে ইগতপুরীতে লায়লার ফার্ম হাউসের মাটি খুঁড়ে পুলিশ উদ্ধার করেছিল পচাগলা দেহগুলো। খুনের অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছিলেন অভিনেত্রীর মা শেলিনার তৃতীয় স্বামী, কাশ্মীর নিবাসী পারভেজ তাক ( Parvez Tak)। ১৩ বছর পর গত ৯ মে মুম্বইয়ের একটি দায়েরা আদালত অভিযুক্ত পারভেজকে লায়লা এবং তাঁর পরিবারের পাঁচ সদস্যকে হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত করেছিল। শুক্রবার, ২৪ মে লায়লা হত্যাকাণ্ড (Laila Khan Murder Case) মামলার চূড়ান্ত রায় দেয় আদালত। দোষী পারভেজ তাককে মুম্বইয়র ওই দায়েরা আদালত মৃত্যুদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে।
লায়লা এবং পরিবারের বাকিদের নিখোঁজ হওয়ার পর অভিনেত্রীর বাবা নাদির প্যাটেল পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন। অভিনেত্রীর পরিবারের নিখোঁজ হওয়ার পিছনে সৎ বাবা পারভেজের যোগ রয়েছে বলে শুরু থেকেই সন্দেহ করে আসছিল পুলিশ। কারণ লায়লা এবং তাঁর পরিবারকে শেষবার পারভেজের সঙ্গেই দেখা গিয়েছিল।
লায়লা খান হত্যাকাণ্ডে দোষীকে মৃত্যুদণ্ড...
Sessions court gives death sentence to Parvez Tak in the 2011 murder of his step-daughter and actor Laila Khan and five others
— Press Trust of India (@PTI_News) May 24, 2024
লায়লা হত্যাকাণ্ড প্রসঙ্গে পুলিশ জানায়, সম্পত্তি নিয়ে ইগতপুরীর ফার্ম হাউসে অভিনেত্রীর মা শেনিলার সঙ্গে তাঁর তৃতীয় স্বামী পারভেজ তাকের তুমুল অশান্তি বাধে। ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করে স্ত্রীকে খুন করেন পারভেজ। এরপর একে একে লায়লা, দিদি আমিনা, যমজ ভাই জারা ও ইমরান এবং তুতো বোন রেশমা খানকে হত্যা করে পারভেজ। প্রমাণ লোপাটে ছয়টি দেহ ফার্ম হাউসে মাটি খুঁড়ে পুঁতে রেখেছিল। পরে ই ফার্মহাউসে আগুনও ধরিয়ে দেয় পারভেজ। একবছর পর ক্রাইম ব্রাঞ্চ অফিসাররা ওই পরিত্যক্ত ফার্মহাউসে তদন্তে গেলে মাটি খুঁড়ে দেহগুলি উদ্ধার হয়।