মা-মেয়েকে জোড়া খুন,  সেপটিক ট্যাঙ্কে দেহ ফেলে উধাও প্রেমিক
প্রতীকী ছবি(Photo Credit :PTI)

রাঁচি, ৩ সেপ্টেম্বর: একই সঙ্গে মা-মেয়েকে খুন করে সেপ্টিক ট্যাঙ্কের (soak pit tank) দেহ ফেলে দেওয়ার ঘটনা ঘটল ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে (Ranchi)। মৃত মহিলার নাম রেখা টিজ্ঞা( Rekha Tigga), তাঁর বয়স ২৬ বছর। মহিলার সঙ্গে বছর পাঁচেকের মেয়েকেও খুন করে পুঁতে দেওয়া হয়েছে। এই ঘটনায় মহিলার প্রেমিক শামিমের দিকেও অভিযোগের আঙুল উঠেছে। যদিও ঘটনার পর থেকেই উধাও প্রেমিক প্রবর। জানা গিয়েছে রেখা প্রেমিক শামিমের সঙ্গে মেয়েকে নিয়ে স্থানীয় আরগোরা এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থাকতেন। গত ২১ তারিখের পর মা-মেয়েকে স্থানীয়রা কেউ দেখতে পাননি। এরপর বাড়িওয়ালাকে ফেন করে সামিম বলে রেখা মেয়েকে নিয়ে তাঁর গ্রামের বাড়িতে ফিরে গিয়েছেন। আর কখনও শহরে আসবেন না।

বাড়িওয়ালা আরগোরার (Argora area) ওই বাড়িতে থাকেন না। শামিম পেশায় রাজমিস্ত্রি ও রেখা ছিলেন দিন মজুর। গত ২৮ এপ্রিল রেকা আরগোড়ার ভৈঁরো টিজ্ঞার বাড়িটিতে ভাড়া নিয়ে আসেন। সেই সময় থেকেই মা-মেয়ের সঙ্গে থাকত শামিম (Samim)। ২২ তারিখ আচমকাই শামিম ভৈঁরোকে গিয়ে বলে মা-মেয়ে দেশের বাড়িতে বরাবরের জন্য ফিরে গিয়েছে। তাই সে-ও আর এখানে থাকতে চায় না। এর টিক দুদিনের মধ্যেই বাড়ি ছেড়ে চলে যায় শামি। বেশ কয়েকদিন কাটার পর বাড়িটি পরিস্কার করে ফের ভাড়ার ব্যবস্থা করতে আরগোরাতে আসেন ভৈঁরো টিজ্ঞা। তিনি বাড়ির চত্বরে ঢোকার পরই একটা গন্ধ পান। পচা গন্ধে তাঁর দম আটকে আসে। সন্দেহ হওয়ায় পুলিশে খবর দেন তিনি। পুলিশ এসে খোঁজাখুঁজি করেও প্রথমে কিছুই পায়নি। পরে সেপ্টিক ট্যাংকের কাছে গিয়ে দেকে গন্ধের তীব্রতা অনেক বেশি। ট্যাংকের ঢাকনা সিমেন্ট দিয়ে আটকানো আছে। সেই স্লাব সরিয়েই দেহ দুটিকে উদ্ধার করা হয়। দেহ দুটি যে রেখা ও তাঁর মেয়ে প্রিয়াংশির, সে সম্পর্কে নিশ্চিত হতে ওই মহিলার গ্রামের বাড়ি রাঁচির রাতু ব্লকের হুরহুরি গ্রামে যায় পুলিশ। তাঁরা যে গ্রামে যাননি দীর্ঘদিন এই খবর জানার পরই দেহদুটিকে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়। আরও পড়ুন-অসমে গণপিটুনিতে মৃত্যু চিকিৎসক দেবেন দত্তের, প্রতিবাদে মঙ্গলবার ২৪ ঘণ্টার চিকিৎসা পরিষেবা ধর্মঘটে আইএমএ

পরে পুলিস জানিয়েছে, মনে হয় মহিলার টাকা পয়সা কেড়ে নিতেই মা-মেয়েকে খুন করে শামিম। তারপর দেহ দুটি সেপ্টিক ট্যাঙ্কে ফেলে দেয়। প্রমাণ লোপাটের জন্য ট্যাঙ্কের ঢাকনা সিমেন্ট দিয়ে বন্ধ করেছিল। তবে বুঝতে পারেনি যে গন্ধ ছড়ালে তারই বিপদ বাড়বে। যদিও দুষ্কর্ম করে সে পালিয়ে যায়। তবে পুলিশ ইতিমধ্যেই শামিমের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ধারায় খুনের মামলা রুজু করে তদন্তে নেমেছে। শামিমকে গ্রেপ্তার করতেতল্লাশিও শুরু হয়েছে। তার হদিশ পেতে পরিচিত বন্দু বান্ধবদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। গোটা ঘটনায় স্তব্ধ হয়ে গিয়েছেন বাড়ির মালিক ভৈঁরো টিজ্ঞা।