Is Seema Haider Beaten by Husband Sachin? (Photo Credits: X)

অবৈধ পথে সীমানা পেরিয়ে প্রেমের টানে ভারতে এসেছিলেন পাকিস্তানের গৃহবধূ সীমা হায়দার (Seema Haider)। সে খবর ছড়িয়ে পড়তেই শুরুতে কিছু আইনি জটিলতা তৈরি হলেও সেই সমস্ত কিছুকে এখন অতীত করে পুরোদস্তুর শচীন ঘরণী হয়ে উঠেছেন পাক গৃহবধূ। তবে সম্প্রতি জানা যাচ্ছে, শচীন-সীমার সংসারে অশান্তি ছায়া ফেলেছে। সীমাকে মারধর শুরু করেছেন নয়ডার যুবক শচীন। মুখে চোখে কালশিটে পড়েছে তাঁর। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়া এক ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে সেই চিত্র। পাক গৃহবধূকে মারধর করার সেই খবর হুহু করে ছড়িয়ে পড়তে শুরু করেছে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে। এমনকি এও জানা যাচ্ছে, সীমার প্রাক্তন স্বামী পাকিস্তান নিবাসী গুলাম হায়দার সেই খবর নিশ্চিত করেছে। শচীন এবং তাঁর পরিবারের উপর সীমাকে মারধরের অভিযোগ তুলেছেন গুলামও।

২০১৯ সালে অনলাইন গেমের সুবাদে পরিচয় হয়েছিল পাকিস্তানের সীমা এবং নয়ডার বাসিন্দা শচীনের। ভালোবাসার টানে ২০২৩ সালে সন্তানদের নিয়ে নেপাল সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢুকেছিলেন পাক বধূ। আর পিছন ফিরে তাকাননি সীমা। শচীনকে বিয়ে করে পুরোপুরি এদেশেই থেকে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তিনি। শচীন-সীমার মধ্যে কী এমন হল যে তাঁদের সুখের সংসারে অশান্তি দানা বাঁধল? কেনই বা সীমার গায়ে হাত তুলছেন শচীন? এই সমস্ত প্রশ্ন যখন ঘুরছে নেটবাসীর মনে ঠিক তখনই ফাঁস হল এক তথ্য। সীমার আইনি প্রতিনিধি এপি সিং জানাচ্ছেন, ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োটি ডিপফেক করে বানানো হয়েছে। ভিডিয়োতে দেখা যাওয়া মহিলাটি আদেও সীমা নন।

দেখুন... 

তিনি আরও জানান, পাকিস্তানের কোন এক ইউটিউবার আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সের (AI) মাধ্যমে ওই ভিডিয়োটি বানিয়েছেন। ভারতে সীমা খারাপ রয়েছেন, শচীন তাঁর উপর অত্যাচার করছেন, তাঁকে মারধর করছে, শচীনের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে তাঁকে বদনাম করার জন্যে এই ডিপফেক ভিডিয়োটি বানিয়ে ইউটিউবে ছেরেছেন ওই পাকিস্তানি ইউটিউবার।