Ajay Bisaria (Photo Credits: ANI)

India-Pakistan Relation: পাকিস্তানের (Pakistan) দিকে তাক করে রয়েছে ভারতের নয়টি ক্ষেপণাস্ত্র। যে কোন মুহূর্তে নয়া দিল্লি থেকে নির্দেশ আসবে 'ফায়ার'। ২০১৯ সালে ভারতের সেই কড়া পদক্ষেপের জেরে ভয়ে সিঁটিয়ে গিয়েছিল পাকিস্তান। এমন পরিস্থিতিতে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর (Narendra Modi) সঙ্গে একবার ফোনে কথা বলতে চেয়ে মাঝরাতে মরিয়ে হয়ে উঠেছিলেন পাকিস্তানের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan)। সেই রাতেই ভীত পাকিস্তান ভারতীয় হাই কমিশনার অজয় বিসারিয়ার দরজায় কড়া নাড়ে। জানানো হয়, নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে কথা বলতে চান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান। কিন্তু পাক প্রধানমন্ত্রীর ডাকে সাড়া দেননি নমো। পরবর্তীকালে সেই নাটকীয় রাতকেই 'কতল কি রাত' (Qatal Ki Raat) বলে উল্লেখ করেন মোদী।

ভারত-পাকিস্তান কূটনীতিক সম্পর্ক (India-Pakistan Relation) নিয়ে সম্প্রতি একটি বই লিখেছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ভারতীয় রাষ্ট্রদূত ছিলেন অজয় বিসারিয়া (Ajay Bisaria)। সেই সময়ে তিনি ইসলামাবাদে ছিলেন। পাকিস্তানে আটক ভারতীয় বায়ুসেনার উইং কমান্ডার অভিনন্দন বর্তমানের মুক্তির অন্তরালের কাহিনী নিজের বইয়ে জানিয়েছেন বিসারিয়া। অভিনন্দনকে দ্রুত মুক্তি দিতে হবে তা না হলে পাকিস্তানে আছড়ে পড়বে ভারতের নয়টি ক্ষেপণাস্ত্র। তাঁর ঠিক পরের দিনই অভিনন্দনকে ভারতের হাতে তুলে দেওয়ার কথা পাক সাংসদে জানিয়েছিলেন ইমরান। শান্তির লক্ষ্যে পাকিস্তানের এই পদক্ষেপ বলে দাবি করা হলেও এর পিছনে কাজ করেছিলেন প্রাক প্রধানমন্ত্রীর ভীতি।

ভারতীয় হাই কমিশনার অজয় বিসারিয়া নিজের বই 'অ্যাঙ্গার ম্যানেজমেন্ট: দ্য ট্রাবলড ডিপলোম্যাটিক রিলেশনশিপ বিটউইন ইন্ডিয়া অ্যান্ড পাকিস্তান' সেই 'কতল কি রাত' (Qatal Ki Raat) এর নিখুঁত বর্ণনা করেছেন। অভিনন্দনকে বন্দী বানানোর পরেই পাকিস্তানের কাছে খবর আসে, সে দেশের দিকে ৯টি মিসাইল তাক করে রেখেছে ভারত। দিল্লির একটা নির্দেশে পাকিস্তানে ঘটবে বিস্ফোরণ। ২০১৯ সালের ২৭ ফেব্রুয়ারির সেই রাতেই বিসারিয়াকে ফোন করেছিলেন পাকিস্তানের বিদেশ সচিব সোহেল মাহমুদ। সোহেল জানান, প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান (Imran Khan) ফোনে সরাসরি কথা বলতে চান ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। কিন্তু দিল্লির তরফে জানানো হয়, মোদী কথা বলতে নারাজ।