চলতি সপ্তাহেই সিমলায় একটি মসজিদে অবৈধ নির্মান নিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ড বাধে। এই নির্মান ভেঙে দিতে হবে, এই দাবি নিয়ে এক বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে। পরিস্থিতি মোকাবিলা করতে জল কামানের ব্যবহারও করতে হয় পুলিশ প্রশাসনের। তারপরেও আন্দোলন ঠেকানো যায়নি। অবশেষে আন্দোলনকারীদের চাপে পিছু হটতে বাধ্য হল রাজ্য সরকার। শুক্রবার হিমাচল প্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী সুখবিন্দর সিং সুখু () বলেন, "যে মসজিদের অবৈধ নির্মান নিয়ে এত সমস্যা হচ্ছিল, সেই জায়গাটি ভেঙে ফেলা হবে। আমরা ওই মসজিদের পরিচালন কমিটির সঙ্গে কথা বলেছি এবং তাঁরা ভেঙে ফেলার সম্মতি দিয়েছেন। অবৈধ নির্মান আমরা কাউকেই প্রশ্রয় দেব না। সে যে ধর্ম, জাতি বা বর্ণের  মানুষই হোক না কেন। আমরা প্রথম থেকেই এর কড়া বিরোধীতা করে এসেছি"।

সেই সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী সুখু সাম্প্রদায়িক অশান্তি প্রসঙ্গে বলেন, "হিমাচলে সমস্ত ধর্মের মানুষকে সম্মান জানানো হয়, হিমাচলের পাশাপাশি সারা দেশেও এই সংস্কৃতিই দীর্ঘদিন ধরে চলে আসছে। আর আমরা এই সংস্কৃতিতেই বিশ্বাসী। কোনও সম্প্রদায় বা রাজনৈতিক দলের অনান্য ধর্মের লোকেদের ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত আনা করা উচিত নয়"। অন্যদিকে এই আন্দোলনে পুলিশের কড়া পদক্ষেপ নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। জল কামানের ব্যবহার নিয়ে সমালোচনা করেছে বিজেপি নেতৃত্ব।

এদিন মুখ্যমন্ত্রী সেই প্রসঙ্গে বলেন, "জল কামানের ব্যবহার হিমাচল প্রদেশে নতুন নয়। আগেও হয়েছে। আন্দোলনকারীদের ঠেকাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। এসব আন্দোলনের অঙ্গ। বিজেপি, সিপিএম এমনকী কংগ্রেসের নেতা কর্মীরাও যখন প্রতিবাদ করেন তখন জল কামানের ব্যবহার করা হয়"।"