স্বল্প সময়ের হাসপাতাল বাসের পর আজ চিকিৎসকদের ছাড়পত্র নিয়ে রাজভবনে নিজের দফতরে আসেন। বাসভবন থেকে হেঁটে অফিসে পৌঁছে তিনি নতুন উদ্যমে কাজ শুরু করেছেন বলে রাজভবনের তরফে জারি করা এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
সকালের বৈঠকে রাজ্যপাল প্রথমেই গুরুত্বপূর্ণ ফাইলগুলির নিষ্পত্তি করেন। এরপর তিনি উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের সঙ্গে আলোচনায় বসেন এবং গত দুই বছরে রাজভবনের গৃহীত জনমুখী কর্মসূচিগুলির ধারাবাহিকতা বজায় রাখার ওপর জোর দেন। আলোচনার পর তিনি একাধিক কর্মসূচি দ্রুত বাস্তবায়নের নির্দেশ দেন।রাজ্যে শান্তি ও সামাজিক সম্প্রীতি রক্ষার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন এবং জানান, এই কাজে তিনি নিজে সক্রিয়ভাবে অংশ নেবেন। নিয়মিত গ্রাম সফর, রাত্রিযাপন এবং প্রত্যক্ষ জনসংযোগের মাধ্যমে মানুষের সঙ্গে নিবিড় সম্পর্ক স্থাপন করে সম্প্রীতির বার্তা পৌঁছে দেবেন বলেও জানান রাজ্যপাল।প্রশাসনিক দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে রাজভবনের বিভিন্ন আধিকারিকদের বিভিন্ন জেলার দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়া হবে। সেই জেলার মানুষ তাঁদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারবেন এবং সংশ্লিষ্ট আধিকারিকেরা রাজ্যপালকে পরিস্থিতি জানিয়ে নির্দেশ গ্রহণ করবেন।
এপ্রিল মাসের পর গত মঙ্গলবার ফের হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। অ্যাপোলো হাসপাতালে রুটিন চেক-আপ করাতে গিয়ে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে পর্যবেক্ষণে রাখার সিদ্ধান্ত নেন চিকিত্সকরা। শেষে তাঁকে ভর্তি করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। অবশেষে ৪৮ ঘন্টা পর রাজ্যপালকে ছেড়ে দেওয়া হল। তবে ডাক্তাররা জানিয়েছেন রাজ্যপালের হার্টের অবস্থা ভালো নয়। গত এপ্রিল মাসে বুকে হালকা ব্যথা অনুভব করেন তিনি। এরপর কমান্ডে হাসপাতালে রুটিন চেক আপের সময়ে হার্টের তিনটে ব্লকেজ ধরা পড়ে। সেদিন সকালে এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে একজন কার্ডিওলজিস্টকে ডেকে পাঠানো হয় রাজভবনে। তিনি রাজ্যপালের শারীরিক অবস্থা পরীক্ষা করে দেখার পর, তাঁকে কমান্ড হাসপাতালে ভর্তির পরামর্শ দেন। ওই চিকিৎসকের তত্ত্বাবধানেই কমান্ড হাসপাতালে নিয়ে আসা হয় রাজ্যপালকে। এরপর সারা হয় প্রয়োজনীয় পরীক্ষা। তাতেই হার্টে ব্লকেজ মেলে ৩টি।