শ্রীনগর, ১২ মার্চঃ লোকসভা ভোটের (Lok Sabha 2024) আগেই দেশে নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন চালু হবে, বেশ কিছুদিন যাবতই বিজেপি নেতাদের মুখে বিভিন্ন জনসভায় এই প্রতিশ্রুতি শোনা গিয়েছে। সমস্ত জল্পনায় ইতি টেনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) সিএএ (CAA) কার্যকরের বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করে দিলেন। সোমবার গোটা দেশে চালু হয়ে গেল বহু বিতর্কিত আইনটি। প্রধানমন্ত্রীর এই সিদ্ধান্তের প্রতিবাদে তীব্র আক্রমণ শুরু করেছে বিরোধী দলগুলো। ঘটনাচক্রে মঙ্গলবার থেকে শুরু হয়েছে মুসলিমদের রোজ। ঠিক তার আগের দিনই সিএএ কার্যকর করা নিয়ে মোদীকে খোঁচা দিয়ে কাশ্মীর ন্যাশানল কনফারেন্সের সহ সভাপতি ওমর আবদুল্লা (Omar Abdullah) বললেন, 'দেশের মুসলিমদের রমজান মাসের উপহার দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
এই সিএএ (Citizenship Amendment Act) মূলত পাকিস্তান, বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তান থেকে ধর্মীয় কারণে নিপীড়নের শিকার হয়ে এ দেশে আসা শরণার্থীদের ভারতীয় নাগরিকত্ব দেওয়ার কথা বলে। তবে হিন্দু, শিখ, জৈন, বৌদ্ধ, পার্সি এবং খ্রিস্টান কেবল এই ছয় সম্প্রদায়ের শরণার্থীদেই দেওয়া হবে ভারতের নাগরিকত্ব। বিলে কোথাও মুসলিমদের উল্লেখ নেই। তাই এই আইনকে মুসলিম বিরোধী বলেই নিশানা করেছেন ওমর। তাঁর দাবি, বিজেপি সব সময়ে মুসলিম সম্প্রদায়কে টর্গেট করেছে। এটি বিজেপির জন্য নতুন কোন রাজনীতি নয়। বহু দিন থেকেই এটি চালিয়ে যাচ্ছে তাঁরা।
চব্ববিশের ভোটের প্রচারে মেনে মোদীর কণ্ঠে বারংবার শোনা গিয়েছে ৪০০ আসনে জয়লাভের ধ্বনি। তবে ওমার মনে করছেন, মোদী ৪০০ আসন পাওয়া নিয়ে যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী নয়। তাই ভোটের আগে তাঁকে তড়িঘড়ি নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন কার্যকর করতে হল। ২০১৯ সালে দ্বিতীয় বার ক্ষমতায় এসে মোদী সরকার ভারতে সিএএ চালু করার কথা জানিয়েছিলেন। তবে বিগত বছর গুলোতে বিতর্কিত আইনটি নিয়ে আর কোন উচ্চবাচ্য করতে দেখা যায়নি কেন্দ্র সরকারকে। ভোটের মুখে ফের সিএএ (CAA) ঝড় তোলায় মোদী সরকারকে নিশানা করে ওমর আবদুল্লা বললেন, 'ওরা (বিজেপি) বলেছিল রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার পর আর তাঁদের ভোটে হারানো সম্ভব নয়। কিন্তু ভোট যত এগিয়ে আসছে তাঁরা ক্ষমতা হারানোর ভয় পাচ্ছে। তাই সিএএ-কে নতুন হাতিয়ার করেছে'।