সঞ্জীবনী ও লক্ষ্মণ (ছবিঃX)

নয়াদিল্লিঃ স্বামী ছেড়ে বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়েছিল মেয়ে। জানতে পেরে মেয়ে ও তার প্রেমিককে খুন বাবার। হাড়হিম করা ঘটনাটি ঘটেছে মহারাষ্ট্রের নান্দের জেলার গোলেগাঁওয়ে। মৃতার নাম সঞ্জীবনী। গোলেগাঁওয়ের এক যুবকের সঙ্গে কয়েক বছর আগে বিয়ে হয় তাঁর। কিন্তু সেই বিয়েতে সুখী ছিলেন না তিনি। লক্ষ্মণ ভান্ডার নামে স্থানীয় এক যুবকের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়ান ওই তরুণী। সম্প্রতি প্রেমিকের সঙ্গে তাঁকে ঘনিষ্ঠ অবস্থায় দেখে ফেলেন শ্বশুরবাড়ির লোকজন। খবর দেওয়া হয় সঞ্জীবনীর বাড়িতে। মেয়ের শ্বশুরবাড়িতে আসেন বাবা ও পরিবারের আরও দু'জন। মেয়ে ও তাঁর প্রেমিককে বেধড়ক মারধর শুরু করেন তাঁরা।

মেয়ে ও তাঁর প্রেমিককে পিটিয়ে খুন বাবার

স্থানীয় সূত্রে খবর, মারধরের চোটে মৃত্যু হয় ওই যুগলের। পরে শ্বশুরবাড়ির কুয়ো থেকে উদ্ধার হয় সঞ্জীবনী ও তাঁর প্রেমিকের দেহ। খবর পেয়ে  ঘটনাস্থলে যান এলাকার উচ্চপদস্থ পুলিশ কর্মকর্তা আর্চনা পাটিল, মহকুমা পুলিশ কর্মকর্তা দশরথ পাটিল এবং পুলিশ পরিদর্শক অঙ্কুশ মানে।  এই ঘটনায় মৃতার বাবা, স্বামী-সহ আরও দু'জনকে আটক করেছে পুলিশ। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ শুরু করে পুলিশ। প্রথমে সবটা অস্বীকার করলেও পরে অপরাধের কথা নিজেদের মুখে স্বীকার করে অভিযুক্তরা।

পরকীয়ায় মগ্ন বিবাহিতা কন্যা, জানতে পেরে মেয়ে ও প্রেমিককে খুন বাবার