প্রতীকী ছবি(Photo Credit: ANI)

নতুন দিল্লি, ২৭ সেপ্টেম্বর: স্বামীর দ্বিতীয় বিয়ের পরে বেশ দুঃখে ছিলেন প্রথম স্ত্রী। ভেবেছিলেন স্বামী অত্যচার করলে একটা কড়াকড়ি ব্যবস্থা নেবেন। কিন্তু তেমন কিছুই হল না, এদিকে দ্বিতীয় স্ত্রীর পুত্র সন্তান জন্মাতেই প্রতিহিংসার ভাব ফের ফিরে এল। প্রতিশোধ নিতে ওই একরত্তিকেই খুন করল সৎ মা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে রাজধানী দিল্লিতে। তদন্তে নেমে প্রথমে পুলিশ কিছুতেই খুনের মোটিভ বুঝে উঠতে পারছিল না, পরে অভিযুক্তের নাবালিকা কন্যাই ধরিয়ে দিল যোগসূত্র। সে জানাল, শেষবার শিশুপুত্রকে তার মায়ের কোলে দেখা গিয়েছে। পরে জেরায় অপরাধ স্বীকার করে ওই গৃহবধূ এমনকী, খুনের কারণও ব্যাখ্যা করে।

পুলিশ জানিয়েছে, ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত গৃহবধূকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ধৃতের তিন সন্তান রয়েছে। বছর সাতেক আগে তাঁদের বিয়ে হয়। সুখের সংসার বেশ ভালোই চলছিল। গতবছর একটি বিশেষ কাজে বিহারে যান তার স্বামী। সেখান থেকে যখন ফেরেন তখন সঙ্গে বছর তেইশের এক তরুণী। বাড়িতে ফিরে তরুণীকে স্ত্রী হিসেবে পরিচয় দেন স্বামী। দ্বিতীয় বিয়ের খবরে মাথায় আকাশ বেঙে পড়ে ওই গৃহবধূর। রাগে জ্বলতে থাকেন তিনি। তবে কোনওরকম দ্বিচারিতা করেননি ওই ভদ্রলোক। পৃথক বাড়ি ভাড়া নিয়ে দ্বিতীয় পক্ষের থাকার ব্যবস্থা করে দেন। বাড়ি আলাদা হলেও এলাকা একই। তাই দুই বউয়ের দেখা সাক্ষাৎ হতই। বড় বউ কোনও ভাবেই ছোটজনকে মেনে নিতে পারেনি। মুখে না বললেন ভিতরে ভিতরে সে দংশাতে শুরু করে। আরও পড়ুন-বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে আট মাস ধরে লাগাতার ধর্ষণ, সহকর্মীর বিরুদ্ধে থানায় গেলেন নির্যাতিতা

দেখতে দেখতে বছর ঘুরে যায়, ছোট বউয়ের কোল আলো করে পুত্র সন্তান জন্মালে রাগ যায় আরও বেড়ে। স্বামী তাঁকে একেবারেই সময় না দিয়ে সারাদিন দ্বিতীয় পক্ষের সঙ্গে কাটাচ্ছে, এদৃশ্য একেবারেই সহ্য করতে পারছিলেন না ওই গৃহবধূ। মনে মনে প্রতিশোধের পথ খুঁজতে থাকেন তিনি। পুত্র সন্তানের জন্মের খবরে সেই রাগ আরও বেড়ে যায়। শিশুটি জন্মের পর মাত্র একমাস কেটেছ। ঘটনার দিন সকালে চুপিচুপি ঘুমন্ত শিশুকে কোলে নিয়ে সরে পড়ে গৃহবধূ। তারপর দম আটকেই তাকে মেরে ফেলে। বিষয়টি গোপন রাখতে দেহটি কাপড় চাপা দিয়ে রাখে। এদিকে একমাসের শিশুকে কে নিয়ে গেল তাই নিয়ে খোঁজাখুঁজি শুরু হয়ে যায়। জিজ্ঞাসাবাদের পর প্রথমা স্ত্রীর নাবালিকা মেয়েই বাবাকে বলে দেয়, মায়ের কোলেই ভাইকে শেষ দেখা গিয়েছে। সন্দেহ হওয়াতে পুলিশে খবর যায়। পরে পুলিশি জেরায় সত্যিটা স্বীকার করে নেয় অভিযুক্ত গৃহবধূ।