Delhi Pollution. (Photo Credits: X)

Delhi Air Pollution: দিওয়ালির পর ফের বিশ্ব দূষণের রাজধানী বনে গেল দিল্লি। কালো ধোঁয়ার চাদরে ঢেকেছে দেসের রাজধানী শহর। দূষণে এখন দমবন্ধ অবস্থা দিল্লিবাসীর। বায়ুদূষণ নিয়ে রাষ্ট্রসংঘ যে নিরাপদ মাত্রা বেঁধে দিয়েছে, তার চেয়ে ৫৬ গুণ বেশি দূষণ দিল্লির বাতাসে (Delhi Smog)। দেশের রাজধানীর আকাশজুড়ে এখন ঘন বিষাক্ত ধোঁয়াশা। মঙ্গলবার সকালে দিল্লির গড় AQI (Air Quality Index) ছিল ৪৫১। যা ‘বিপজ্জনক’ বায়ুর মানের মধ্যে পড়ে। দিল্লির বিভিন্ন অঞ্চলে যেমন বাওয়ানা (৪২৩), ওয়াজিরপুর (৪০৮), জাহাঙ্গিরপুরী (৪০৪) সব জায়গাতেই বায়ুর মান 'অত্যন্ত খারাপ' থেকে 'ভয়ঙ্কর' পর্যায়ে পৌঁছেছে। রাজধানীর ৩৮টি নজরদারি কেন্দ্রে স্টেশনের ( (Monitaring Staion) ) প্রায় সবকটিতেই লাল সতর্কতা জারি হয়েছে। দিওয়ালির পরবর্তী এই দূষণ আগামী কয়েক দিন, এমনকি কয়েক সপ্তাহও স্থায়ী হতে পারে বলে আশঙ্কা। তুলনামূলকভাবে মুম্বইয়ে বায়ুদূষণ কিছুটা কম হলেও, বিশ্বে বর্তমানে চতুর্থ সর্বাধিক দূষিত শহর হিসেবে উঠে এসেছে সে শহরও।

দেখুন দিল্লির দূষণ চিত্র

তবে দিল্লির দূষণের পিছনে দিওয়ালির সম্পর্ক দেখছে না দিল্লির বিজেপি সরকার। বিজেপি নেতা অমিত মালভ্যর দাবি,"এটা আপ-শাসিত পঞ্জাবের ধোঁয়া, দিওয়ালির দোষ নয়।" আপ নেতারা কেন্দ্রকে দায়ী করছেন। দিল্লির পরিবেশমন্ত্রী মনজিন্দার সিং সিরসা (Manjinder Singh Sirsa)-র দাবি, দেশের রাজধানী শহরে বায়ুদূষণের পিছনে অরবিন্দ কেজেরিওয়ালের হাত রয়েছে। দিল্লিতে দূষণ ছড়ানোর জন্য পঞ্জাবে আপ নেতৃত্ব নোংরা খেলছে বলে অভিযোগ তার। দিল্লির বায়ু দূষণের জন্য পঞ্জাবের কৃষকদের ধানের ফসলের পর অবশিষ্টাংশ বা স্টাবল বার্নিংয়ে (stubble burning) বাধ্য করছেন কেজরিওয়াল তেমনই দাবি বিজেপি মন্ত্রীর। সিরসার দাবি, "প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কেজরিওয়াল প্রথমে ইচ্ছাকৃতভাবে দিল্লিতে আতসবাজি নিষিদ্ধ করেছিলেন, যাতে একটি নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের ভোট পান এবং তাদের প্রসন্ন করেন।" তিনি আরও যোগ করলেন, "কিন্তু তিনি নববর্ষ বা অন্যান্য অ-হিন্দু উৎসবে কখনো এমন কোনো বক্তব্য দেননি। আজ সকাল থেকে কেজরিওয়ালের পুরো দল দিওয়ালিকে অভিশাপ দিচ্ছে, যা সম্পূর্ণ রাজনৈতিক এবং সাম্প্রদায়িক।"

দিল্লিতে অতি বিপজ্জনক মাত্রার বায়ুদূষণ

বিশেষজ্ঞদের মতে, দিল্লির বাতাসে PM2.5 নামের সূক্ষ্ম দূষণকণার পরিমাণ ২০০ মাইক্রোগ্রাম/ঘনমিটারেরও বেশি, কিছু এলাকায় তা ছাড়িয়েছে ৫০০ µg/m3, যা সাধারণ মানুষের ফুসফুসের গভীরে প্রবেশ করে মারাত্মক শ্বাসকষ্ট, অ্যালার্জি ও দীর্ঘমেয়াদি রোগের ঝুঁকি বাড়ায়। এই ভয়াবহ বায়ুদূষণের জন্য, দিল্লিবাসীদের যতটা সম্ভব ঘরের ভিতরে থাকা, বাইরে গেলে মাস্ক ব্যবহার ও দৌড়ঝাঁপ বা শারীরিক পরিশ্রম এড়িয়ে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।