Gyanvapi mosque (Photo: Twitter)

বেরেলি, ১৫ মে: বারাণসীর (Varanasi) জ্ঞানভাপি মসজিদে (Gyanvapi Mosque) আজও সমীক্ষা চালাবে আদালত-নিযুক্ত আইনজীবীদের একটি দল। জ্ঞানভাপি মসজিদের ব্যবস্থাপনা কমিটি ইতিমধ্যেই স্থানীয় আদালতের সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করেছে। যার ফলে বিষয়টি স্পর্শকাতর হয়ে ওঠার আশঙ্কা উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না। এই বিষয়ে এবার সতর্ক করলেন আলা হজরত দরগার মুখপাত্র মাওলানা শাহাবুদ্দিন রাজভি (Maulana Shahabuddin Razvi)। বারানসীর জ্ঞানভাপি মসজিদের ক্ষতি হলে ব্যাপক প্রতিবাদের বিষয়ে সতর্ক করেছেন তিনি।

সম্প্রতি বিজেপি নেতা সঙ্গীত সোম বলেন, "১৯৯২ সাল ছিল বাবরীর জন্য, ২০২২ সালে জ্ঞানভাপি সম্পর্কে চিন্তা করার সময় এসেছে।" জবাবে মুসলিম ধর্মগুরু বলেন, "হিন্দু-মুসলমানরা উভয়ই শতাব্দী ধরে শান্তিপূর্ণভাবে একসঙ্গে বসবাস করছে, কিন্তু কিছু বিভাজনকারী শক্তি এটা চায় না। তাদের রাজনৈতিক লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য ঘৃণা ছড়াচ্ছে। আমরা বাবরি মসজিদ ধ্বংসের প্রত্যক্ষদর্শী এবং যদি এটি জ্ঞানভাপির সঙ্গে পুনরাবৃত্তি হয়, তাহলে মুসলমানরা সংবিধান প্রদত্ত অধিকারের মধ্যে কঠোর প্রতিবাদ করতে বাধ্য হবে। বারবার আমরা কাউকে আমাদের ধর্মীয় অনুভূতি নিয়ে খেলতে দেব না।" আরও পড়ুন: Covid-19 In India: ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে করোনা আক্রান্ত ২ হাজার ৪৮৭ জন, মৃত্যু ১৩ জনের

তিনি আরও বলেন, "মুসলিমরা বাবরি মসজিদ নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায় মেনে নিয়ে দেশে শান্তি ও ভ্রাতৃত্বের বার্তা দিয়েছে। দেশের সর্বোচ্চ আদালতের প্রতি এখনও আমাদের আস্থা আছে।"

বারাণসীর জ্ঞানভাপি মসজিদটি কাশী বিশ্বনাথ মন্দিরের কাছে অবস্থিত। এর বাইরের দেওয়ালে হিন্দু দেব-দেবীর মূর্তির সামনে প্রতিদিন প্রার্থনার অনুমতি চেয়ে একদল মহিলা আদালতে আবেদন করেন। সেই আবেদনের শুনানি চলছে স্থানীয় আদালতে।

তাজমহলের জমি বিতর্কেও মুখ খুলেছেন রাজভি। তিনি বলেছেন, "পুরো বিশ্ব জানে যে এটি শাহজাহান তাঁর স্ত্রীর স্মৃতিতে প্রেমের স্মৃতিস্তম্ভ হিসাবে তৈরি করেছিলেন। জমিটি তাঁরই ছিল এবং সুন্নি সেন্ট্রাল বোর্ড বহু বছর ধরে এটির দেখাশোনা করে। এলাহাবাদ হাইকোর্ট আবেদনকারীকে যথাযথভাবে ভর্ৎসনাও করেছে। এই ধরনের বিদ্বেষ-প্রবণদের কারণে আমরা বিশ্বের সামনে ছোট হচ্ছি।"