File image of a tigress (Photo Credits: Pixabay)

লখিমপুর খেরি, ২৩ জুন:  গত সপ্তাহেই মন্দিরের পুরোহিতকে খেয়েছে মানুষখেকো বাঘিনীর (Man-Eater Tigress)। এবার সেই বাঘিনীকে ধরতে মন্দিরের কাছেই মোশন সেন্সর ক্যামেরা সমেত খাঁচা বসানো হল। গত ২ বছর ধরে এই মানুষখেকো বাঘিনীর শিকার হয়েছেন ১৮ জন। তাঁর মধ্যে গত অক্টোবরেই বাঘিনীর পেটে গেছে ৬ জন। মন্দিরের পুরেহিতকে খাওয়ার পর ধৈর্য্যের বাঁধ ভেঙেছে। এখন বাঘিনীকে খাঁতায় পুরতে বদ্ধপরিকর বনকর্মীরা দুটি হাতির পিঠে চড়ে গোটা এলাকায় চিরুণ তল্লাশি চালাচ্ছেন। আরও পড়ুন- Coronavirus Cases In India: ঊর্দ্ধমুখী কোভিড সংক্রমণে দেশে নতুন আক্রান্ত ১৩,৩১৩ জন

গত ১৮ জুন বাঘিনীর পেটে গেছেন মন্দিরের পুরোহিত। মৃত পুরোহিতের শরীরের মাংস খুবলে খেয়েছে মানুষখেকো। গত ২১ মে জঙ্গল লাগোয়া মাঠে কাজ করতে গিয়ে বাঘিনীর শিকার হন এক কৃষক। এরপর ২৩ মে ফের এক সাইকেল আরোহীকে টেনে নিয়ে যায় মানুসখেকো বাঘিনী।

মানুষখেকো বাঘিনীর ভয়ে প্রায় কাঁটা  জঙ্গল লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারা।যকিও ওই ব্যঘ্র প্রকল্পের ফিল্ড ডিরেক্টর সঞ্জয় পাঠক আশ্বাস গিয়েছেন যে, বনকর্মীরা দারুণ সতর্কতার সঙ্গে বাঘিনীকে ধরতে উঠেপড়ে লেগেছে। কাই এখন আর কোনও দুর্ঘটনার সম্ভাবনা নেই।

তিনি এই প্রসঙ্গে বলেন, “ মানুষখেকো বাঘিনীর ভয়ে লাগোয়া এলাকার বাসিন্দারা আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছেন। গোটা এলাকা থমথম করছে। তাইতো বাঘিনীকে তাঁর বেসে ফেরত পাঠানোর চেষ্টা চলছে। গত সপ্তাহে মন্দিরের পুরোহিতকে যখন বাঘিনী টেনে নিয়ে গেল, তারপর থেকেই এলাকায় ক্ষোভের ছায়া দীর্ঘ হচ্ছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার প্রচেষ্টা যাচ্ছি। মানুষখেকো বাঘিনীকে যে করেই হোক খাঁচাবন্দি করতে হবে। যদি তা না সম্ভব হয়, তাহলে বাঘিনী লোকালয়ের কাছে ফের চলে আসে তাকে গুলি করে মারার অনুমোদনও চাওয়া হয়েছে।”