স্মিতা, সোনু ও হরিওম (ছবিঃX)

নয়াদিল্লিঃ ছেলেকে নিয়মিত বাড়িতে পড়াতে আসতেন। সেখান থেকেই প্রেম। আর এরপর সেই প্রেমিকের সঙ্গে ঘর বাঁধার জন্য স্বামীকে খুন স্ত্রীর। হাড়হিম করা ঘটনাটি ঘটেছে বিহারের সমস্তিপুরে। ইতিমধ্যেই অভিযুক্ত স্ত্রীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। চলছে তদন্ত। জানা গিয়েছে, মৃতের নাম সোনু কুমার ঝা। পেশায় অটোচালক। ৬ বছর আগে স্মিতা ঝায়ের সঙ্গে বিয়ে হয় তাঁর। এই দম্পতির দুই সন্তানও রয়েছে। সোনুর মা টুনটুনের দাবি, বিয়ের পর থেকেই স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে তেমন বনিবনা ছিল না। ছোটখাট বিষয় নিয়ে লড়াই লেগেই থাকত। তিনি আরও জানান, কিছুদিন আগেই তাঁদের মধ্যে বিবাদ চরমে পৌঁছয়। মীমাংসার জন্য পঞ্চায়েতের হস্তক্ষেপ পর্যন্ত প্রয়োজন হয়। লিখির সমঝোতার করে ফের সংসারে ফেরে দু'জন। কিন্তু তাতেও অশান্তি মেটেনি।

বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কের জেরে স্বামীকে খুন স্ত্রীর

মৃতের মায়ের আরও অভিযোগ, সোনুর সন্তানদের পড়াতে আসত হরিওম কুমার নামে এক যুবক। ওই গ্রামেরই বাসিন্দা সে। তার প্রেমে পড়েছিল বৌমা। হরিওমের সঙ্গে স্ত্রীকে আপত্তিকর অবস্থায় দেখে ফেলেন সোনু। এরপরই গৃহশিক্ষকের বাড়িতে আসা বন্ধ করেন তিনি। কিন্তু কয়েকদিন পর ফের ছেলেদের পড়ানোর বাহানায় বাড়িতে যাতায়াত শুরু করে হরিওম। আর এই নিয়েই ফের অশান্তি শুরু হয়। জানা গিয়েছে, শুক্রবার ঝরাতে বাড়ি ফিরেছিলেন সোনু। বাড়ি ফিরেই শুয়ে পড়েন তিনি। পরদিন সকালে ঘর থেকে উদ্ধার হয় সোনুর রক্তাক্ত দেহ। সেই সময় ঘরের এক কোণায় বসেছিল স্ত্রী স্মিতা, এমনটাই সোনুর বাবার দাবি। এরপর স্মীতাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে পুলিশের সামনে কান্নায় ভেঙে পড়ে সে। অপরাধের কথা স্বীকার করে নেয় স্মিতা।