তিরুপতি মন্দিরে প্রসাদে ব্যবহৃত হয়েছে পশুর চর্বি ও মাছের তেল। সম্প্রতি এই বিতর্কেই তোলপাড় গোটা দেশ। যেখানে মন্দিরের প্রসাদকে শুদ্ধ হিসেবে বিবেচিত করে হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষজন, সেখানেই জালিয়াতি। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই দেশের অনান্য মন্দির কর্তৃপক্ষ নয়া নির্দেশিকা জারি করেছে। বিশেষ করে উত্তরপ্রদেশের মন্দিরগুলিতে বাইরের প্রসাদের ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। যেমন অযোধ্যার রাম জন্মভূমি মন্দিরের (Ram Janmabhoomi Temple) প্রধান পুরোহিত সত্যেন্দ্র দাস জানিয়ে দিয়েছেন, বাইরের সংস্থাগুলি দিয়ে মন্দিরের নৈবেদ্য বা প্রসাদ প্রস্তুত করানো যাবে না। এবার থেকে মন্দিরের পুরোহিতদের তত্ত্বাবধানে তৈরি হবে প্রসাদ। সেই সঙ্গে সারা দেশে বিক্রি হওয়া তেল, ঘিয়ের গুনগত মান যাচাই করার ওপরেও জোড় দিয়েছেন।
অন্যদিকে ললিতা দেবী মন্দিরের প্রধান পুরোহিত শিব মূরত মিশ্র জানিয়েছেন, কোনও ধরনের বাইরের প্রসাদে অনুমতি দেওয়া যাবে না। শুধুমাত্র শুকনো ফল দিয়ে দেবীকে প্রসাদ দেওয়া যাবে। মহাকামেশ্বর মন্দির কর্তৃপক্ষের তরফ থেকে এখন কোনও প্রসাদে অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। মন্দির কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, যতদিন না মিষ্টান্ন জাতীয় প্রসাদের পরীক্ষা হচ্ছে ততদিন কোনও প্রসাদকেই অনুমতি দেওয়া যাবে না।
অন্যদিকে মথুরার মন্দিরে প্রাচীন নিয়মকেই ফিরিয়ে আনা হচ্ছে। সেখানে ফুল, ফলসহ অনান্য প্রাকৃতিক উপাদকেই আপাতত অনুমতি দিয়েছে মন্দির কর্তৃপক্ষ। একই অবস্থা প্রয়াগরাজ, বারানসীর বিভিন্ন মন্দিরে। প্রসঙ্গত, তিরুপতির ভেঙ্কটেশ মন্দিরের প্রসাদমের ল্যাব টেস্টের রিপোর্টে মিলেছে পশুর চর্বির তেলের নমুনা। তারপর থেকে দেশের বিভিন্ন মন্দিরের বাইরের সংস্থার বানানো প্রসাদে জারি হয়েছে নিষেধাজ্ঞা।