নয়া দিল্লি, ২৩ মার্চঃ দিল্লির আবগারি দুর্নীতি মামালায় ইডির হাতে গ্রেফতার হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল (Arvind Kejriwal)। তাঁকে সাত দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে নিম্ন আদালত। সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে এবার দিল্লি হাই কোর্টের (Delhi High Court) দারস্ত হলেন আপ আহ্বায়ক। হাই কোর্টে পালটা মামলা করেছেন কেজরিওয়াল। সেই সঙ্গে তাঁর মামলার দ্রুত শুনানির আর্জিও জানিয়েছেন তিনি। আপ সূত্রে খবর, আগামীকাল রবিবারই মামলার শুনানির জন্যে আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
শনিবার স্ত্রী সুনিতা কেজরিওয়াল মারফত দেশবাসীর উদ্দেশ্যে বিশেষ বার্তা প্রদান করেছেন আপ সুপ্রিমো। ভিডিয়ো বার্তার মাধ্যমে জেলবন্দি স্বামীর চিঠি পড়ে শুনিয়েছেন কেজরিপত্নী। বার্তায় মুখ্যমন্ত্রী আশ্বাস, তিনি জেলের ভিতরে থাকুন কিংবা বাইরে, তাঁর জীবনের একটাই মন্ত্র, তা হল দেশসেবা। আগের জন্মে নিশ্চয় কিছু পুণ্য করেছিলেন যার জন্যে তিনি ভারতের মত মহান দেশে জন্ম নিয়েছেন। তাই গোটা বিশ্বের মধ্যে ভারতকে মহান বানানোর দায়িত্ব পালন করে যাবেন তিনি। আপ সুপ্রিমো আরও বলেন, তিনি শীঘ্রই জেল থেকে মুক্তি পাবেন। নিজের দেওয়া সমস্ত কথা রাখবেন। দেশের মা-বোনের যেন তাঁর উপর থেকে বিশ্বাস আর ভরসা না হারান।
আবগারি দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই জেলে রয়েছেন দিল্লির প্রাক্তন উপমুখ্যমন্ত্রী মণীশ সিসৌদিয়া, আপ সাংসদ সঞ্জয় সিংহ। মামলায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্যে বহুবার মুখ্যমন্ত্রীকে সমন পাঠিয়েছিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। তবে গ্রেফতারির আশঙ্কায় প্রত্যেকবারই ডাক এড়িয়েছেন তিনি। তবে শেষরক্ষা হল না। ২১ মার্চ, বৃহস্পতিবার কেজরির বাসভবনে দলবল নিয়ে পৌঁছয় ইডি আধিকারিকেরা। মুখ্যমন্ত্রীর আবাসন ঘিরে ফেলে দিল্লি পুলিশ এবং আধা সামরিক বাহিনী। প্রায় দু ঘণ্টার জিজ্ঞাসাবাদের পর ইডি গ্রেফতার করে অরবিন্দ কেজরিওয়ালকে। বাজেয়াপ্ত করেছে মুখ্যমন্ত্রীর মোবাইল ফোন।
নিয়ম মেনে গ্রেফতারির পর স্বাস্থ্যপরীক্ষা করিয়ে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শুক্রবার কেজরিকে নিম্ন আদালতে তোলে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ১০ দিনের জন্যে তাঁকে হেফাজতে চেয়েছিল ইডি। তবে বিচারক ৭ দিনের হেফাজত মঞ্জুর করেছে। নিম্ন আদালতের সেই রায়কে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল্লি হাইকোর্টে পালটা মামলার করলেন আপ সুপ্রিমো।