প্রতীকী ছবি

আলিগড়, ৬জুন : মাত্র পাঁচ হাজার টাকার দেনা শোধ দিতে পারেননি। এই অপরাধে যুবকের আড়াই বছরের শিশুকন্যাকে নৃশংস ভাবে খুনের অভিযোগ উঠল আত্মীয়ের বিরুদ্ধে। গলা টিপে খুন করার আগে ওই শিশুর চোখ তুলে নেওয়া হয়েছে। দুমড়ে-মুচড়ে ভেঙে দেওয়া হয়েছে হাত। উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ের  (Aligarh)  এই ঘটনায় এলাকায় তীব্র উত্তেজনা ছড়ায়। তপ্পল এলাকায় মৃতদেহ উদ্ধার হওয়ার পরই দোষীদের কঠোর শাস্তির দাবিতে রাস্তা অবরোধ করেন এলাকাবাসী। তদন্তে নেমে দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আরও পড়ুন-

গত ৩১ মে ওই শিশুর বাবা আলিগড় থানায় একটি নিখোঁজ ডায়েরি করেন। তারপর বুধবার স্থানীয় একটি চাষের জমিতে কুকুরদের জমায়েত এবং তীব্র দুর্গন্ধে সন্দেহ হয় এলাকাবাসীর। খবর দিলে আলিগড় থানার পুলিশ ওই শিশুর মৃতদেহ ( Girl child)  উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়। অপহরণ, খুন-সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করে তদন্তে নামে পুলিশ, এরপর দু’জনকে গ্রেপ্তারও করা হয়।

কিন্তু কেন একরত্তি শিশুকে এমন নৃশংস হত্যা। পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে উঠে এসেছে, এলাকারই বাসিন্দা জাহিদ নামে এক ব্যক্তির কাছ থেকে ৫০০০ টাকা ধার নিয়েছিলেন ওই শিশুর বাবা। জাহিদ আবার তাঁদের আত্মীয়ও। ঘটনার কয়েক দিন আগেই জাহিদের সঙ্গে নিহত শিশুর বাবা ও দাদুর সঙ্গে ওই টাকা নিয়ে বচসা হয়। তার  জেরেই এই খুন বলে প্রাথমিক অনুমান পুলিশের। খুনের আগে ওই শিশুকে অপহরণ করে কোথাও রাখা হয়েছিল কিনা,  খুনের ঘটনায় আরও কেউ যুক্ত কিনা,  এই সব বিষয়ই খতিয়ে দেখে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।