মধ্যপ্রদেশ, ১ মে: করোনা সংক্রামিত স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে গিয়ে মধ্যপ্রদেশে ফের আক্রান্ত আশাকর্মী (Asha Worker)। অভিযোগ, ওই কর্মীকে বেধড়ক মারধরের সঙ্গে চুল টেনে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। বুধবার চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে স্থানীয় টিকমগড়ের নারগুন্ডা গ্রামে। আক্রান্ত আশাকর্মীর নাম রামদেবী আহিরওয়ার। তিনি স্বাস্থ্যকর্মীদের একটি দল নিয়েই ওই গ্রামে গিয়েছিলেন। মহামারী করোনাকে রুখতে দেশজুড়ে চলছে লকডাউন। এরমধ্যেই গ্রামে গ্রামে স্বাস্থ্য পরীক্ষাও শুরু করেছে প্রশাসন। এদিকে হামলার খবর পেয়ে টিকমগড়ের হাউস অফিসার এম ফারুকি জানিয়েছেন, আশাকর্মীর সঙ্গে অভব্য ব্যবহার ও মারধরের অভিযোগে ইতিমধ্যেই হামলাকারী রাজেন্দ্র আহিরওয়ারকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তবে এটা কোনও নতুন ঘটনা নয়, লকডাউনের মধ্যে মধ্যপ্রদেশে স্বাস্থ্য পরীক্ষার কাজে গিয়ে আগেও হামলার মুখে পড়েছেন আশাকর্মীরা।
কিছুদিন আগে কোভিড-১৯ টেস্ট করতে এসে স্থানীয়দের আক্রমণের মুখে পড়েন তিনি আশাকর্মী। সেই ঘটনাও মধ্যপ্রদেশের। মারধরের সময় অভিযুক্তের ধারণা হয় আশাকর্মীরা ছবি তুলছেন পুলিশ পাঠানোর জন্য। সঙ্গে সঙ্গেই এক আশাকর্মীর ফোন ছিনিয়ে নিয়ে ছুঁড়ে ফেলা হয়। এই হামলার জেরে এক আশাকর্মী কপালে চোটও পান। আরও পড়ুন-Lockdown Blues: মদ না দিলে আত্মহত্যা করব, বিজ্ঞাপন হোর্ডিংয়ের টঙে চড়ে হুমকি যুবকের
Accused, Rajendra Ahirwar has been arrested for attacking and misbehaving with the Asha worker in Nargunda village when she along with a medical team had gone to carry out medical checkup in the village: M Farroqui, Station House Officer, Rural Tikamgarh, Madhya Pradesh (30.4) https://t.co/b0MEWuofbC pic.twitter.com/EwLoTJWBbx
— ANI (@ANI) May 1, 2020
শুক্রবার দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা (Coronavirus Cases) ৩৫ হাজার ছুঁয়ে ফেলল। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তথ্যানুযায়ী দেশে মারণ রোগের বলি ১ হাজার ১৪৭ জন। ইতিমধ্যেই সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরেছেন ৮ হাজার ৮৮৯ জন। এই মুহূর্তে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২৫ হাজার সাত জন। মোট আক্রান্ত ৩৫ হাজার ৪৩ জন। মহারাষ্ট্রে আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছালো ১০ হাজার ৪৮-এ। মুম্বইতেই আক্রান্ত ৬ হাজার ৮৭৫ জন। দেশের মধ্যে সবথেকে করোনা বিপর্যস্ত শহর এখন মুম্বই। সেখানেই করোনায় মৃত ২৯০ জন। সমগ্র মহারাষ্ট্রে মারণ ভাইরাসের বলি ৪৫৯ জন। গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে আক্রান্ত ১ হাজার ৯৯৩ জন। মৃত্যু হয়েছে ৭৩ জনের।