ছবিটি প্রতীকী (Photo credits: Pixabay)

নয়া দিল্লি, ২১ সেপ্টেম্বর : এবার কোনও মহিলাকে মধ্যমা (middle finger) দেখালে জেল হতে পারে আপনার। কারণ দিল্লির (Delhi) একটি কোর্টের রায়ে এক ব্যক্তির জেল হয়েছে এক মহিলাকে খারাপ অঙ্গভঙ্গির সঙ্গে মধ্যমা দেখানোয়। অভিযোগকারী মহিলা জানান, অভিযুক্ত তাকে লক্ষ্য করে অশ্লীল মন্তব্য করেছে। এমনকী তাকে চড় মেরেছে। ঘটনাটি ঘটে ২০১৪ সালের মে মাসে। দিল্লি পুলিশে (Delhi Police) এক মহিলা অভিযোগ করেন যে তার দেওর তাকে অশ্লীল মন্তব্য ও শারীরিক নির্যাতন ছাড়াও মাঝের আঙুল দেখিয়েছিল। অভিযোগের তদন্তে নেমে পুলিশ ভারতীয় দণ্ডবিধির (IPC) ৫০৯ এবং ৩২৩ ধারায় মামলা রুজু করে। পুলিশি তদন্তের ভিত্তিতে আদালত ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে পরের বছর ৮ অক্টোবর চার্জ গঠন করে। অভিযুক্ত ব্যক্তি পালটা দোষী না হওয়ার আবেদন জানায় ও আইনি লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত নেন। বিচার চলাকালীন, সরকারি আইনজীবী অভিযোগকারীসহ আরও চারজন সাক্ষীকে জিজ্ঞাসাবাদ করে। মহিলা তাঁর সাক্ষ্যে যে অভিযোগগুলি বলেন। একই অভিযোগ তিনি থানাতেও করেন। আরও পড়ুন : Rajeev Kumar: রাজীব কুমারের আগাম জামিনের আবেদন খারিজ করল আলিপুর আদালত, প্রাক্তন পুলিশ কর্তার খোঁজের বহাল তল্লাশি

তবে অভিযুক্ত ধারাবাহিকভাবে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে এবং এগুলি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন বলে জানায়। সে দাবি করে যে তাদের মধ্যে সম্পত্তির বিবাদ রয়েছে। সেই কারণে ওই মহিলা তার বিরুদ্ধে ক্ষোভ থেকে এসব অভিযোগ এনেছেন। এমনকী নিজের বোনকেও তার পক্ষে সাক্ষ্য দেওয়ার জন্য ডাকে অভিযুক্ত। মামলার শুনানিতে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বসুন্ধরা আজ়াদ (metropolitan magistrate Vasundhara Azad) বলেন, মহিলার উদ্দেশ্যে আসামির করা অঙ্গভঙ্গি মহিলার শালীনতাকে আঘাত করেছে। তাছাড়া মহিলার শরীরে মারের আঘাত পাওয়া গেছে মিডিকেল পরীক্ষায়। আজ়াদ বলেন যে আসামিপক্ষ দাবি করলেও আদালত সম্পত্তি নিয়ে কোনও বিবাদের প্রমাণ পায়নি।

তিনি আরও বলেছিলেন যে এক্ষেত্রে একমাত্র নির্যাতিতার সাক্ষ্যের উপর ভিত্তি করে কাউকে দোষীসাব্যস্ত করা যেতে পারে যদি সেই সাক্ষ্য বিশ্বাসযোগ্য ও নির্ভরযোগ্য হয়। আদালত অভিযুক্তের যুক্তির প্রতি কোনও সত্যতা না পাওয়াতে তা বাতিল করে। অভিযুক্ত ব্যক্তি এখন জরিমানার পাশাপাশি সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড পেতে পারে। তবে মঙ্গলবার তার শাস্তি কী হবে তা জানাবে আদালত।