Nepal Situation (Photo Credit: X)

কাঠমাণ্ডু, ৯ সেপ্টেম্বর: নেপাল (Nepal Unrest) জুড়ে অস্থিরতা ছড়িয়েছে। সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ (Social Media Banned In Nepal) এবং সরকারের দুর্নীতির অভিযোগে যখন নেপাল (Nepal Protests) উত্তাল হতে শুরু করেছে, সেই সময় ১৯ জনের প্রাণ যায়। পুলিশের গুলিতে, লাঠির আঘাতে পরপর ১৯ জনের প্রাণ যায়। সেই সঙ্গে ১০০-র বেশি আহত। নেপালের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে যখন আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্য়মে চর্চা তুঙ্গে, সেই সময় ভারতের তরফেও করা হল সতর্ক।

ভারতের (India) বিদেশমন্ত্রকের (MEA) তরফে নেপালে বসবাসকারী ভারতীয়দের (Indians Who Lived In Nepal) সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। বিদেশ মন্ত্রক জানিয়েছে, নেপালের পরিস্থিতির উপর কড়া নজর রাখা হয়েছে। সোমবার থেকে গোটা নেপালের পরিস্থিতির উপর ভারতের নজর রয়েছে। বিক্ষোভের জেরে যে পরিবারগুলি প্রিয়জনদের হারিয়েছে, তাদের প্রতি সমবেদনা জানানো হয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে। সেই সঙ্গে আহতরা যাতে দ্রুত আরোগ্য লাভ করেন, সেই প্রার্থনাও জানায় এস জয়শঙ্করের দফতর।

আরও পড়ুন: Manisha Koirala On Nepal Protests: 'নেপালের কালো দিন', পুলিশের গুলিতে নিহতদের রক্ত দেখিয়ে সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধে ফুঁসে উঠলেন মণীষা কৈরালা

পাশাপাশি কাঠমাণ্ডু-সহ নেপালের একাধিক শহরের উপর নজর রাখছে দিল্লি। সেই সঙ্গে নেপালে যে ভারতীয়রা এই মুহূর্তে রয়েছেন, তাঁরা যাতে প্রত্যেকে সতর্ক থাকেন, সে বিষয়ে পরামর্শ দেওয়া হয় বিদেশ মন্ত্রকের তরফে।

সোমবারের পর মঙ্গলবার সকাল থেকেও কাঠমাণ্ডু-সহ নেপালের একাধিক শহরের রাস্তায় বিক্ষোভকারীরা নামতে শুরু করেছেন। ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে জারি করা হয়েছে কারফিউ।

সোশ্যাল মিডিয়া নিষিদ্ধ কেন করা হয়েছে, সেই প্রশ্নে নেপাল জুড়ে বিক্ষোভ ছড়ায়। সেই সঙ্গে সরকারের দুর্নীতির বিরুদ্ধেও প্রতিবাদকারীরা তীব্র বিক্ষোভ জানাতে শুরু করেন। যার জেরে পুলিশের সঙ্গে বিক্ষোভকারীদের সংঘর্ষের জেরে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে এখনও পর্যন্ত। যা আন্তর্জাতিক মহলের নজর কাড়তে শুরু করেছে।