নয়াদিল্লি : ভারতে ১ জুলাই জাতীয় ডাক্তার দিবস হিসাবে পালন হয়, ডঃ বিধান চন্দ্র রায়ের সম্মানে। রায় শুধুমাত্র একজন চিকিতসকই ছিলেন না, একজন জনহিতৈষী, শিক্ষাবিদ এবং সমাজকর্মীও ছিলেন। তিনি ১৪ বছর পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী পদে ছিলেন। ডঃ বিধান চন্দ্র রায় (Doctor Bidhan Chandra Roy) প্রতি বছর ১ জুলাই (তাঁর জন্ম ও মৃত্যু দিবস) জাতীয় চিকিৎসক দিবস উদযাপনের মধ্য দিয়ে স্মরণীয় হয়ে আছেন ।
জনসাধারণকে মানসম্পন্ন স্বাস্থ্য পরিষেবা প্রদানের জন্য তিনি দেশে দুটি মর্যাদাপূর্ণ চিকিৎসা প্রতিষ্ঠান তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। ১৯২৮ সালে ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন এবং মেডিক্যাল কাউন্সিল অফ ইন্ডিয়া। তিনি ভারতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, সংক্রামক রোগ হাসপাতাল এবং কলকাতার প্রথম স্নাতকোত্তর মেডিকেল কলেজ চালু করতে সাহায্য করেছিলেন।
ডঃ বিধান চন্দ্র রায়ে ১৮৮২ সালের ১ জুলাই বিহারের পাটনায় জন্মগ্রহণ করেন। রায় দেশে স্কুল জীবন শেষ করে লন্ডনের সেন্ট বার্থোলোমিউ'স হাসপাতালে পড়াশোনার জন্য যান, কিন্তু সেখানে তিনি সহজে ভর্তি হতে পারেননি। তিনি হাল চেড়ে দেশেও ফিরে আসেননি, ভর্তি হওয়ার জন্য ডিনের সঙ্গে প্রায় ৩০টি বৈঠক করেছিলেন। ১৯১১ সালে স্নাতকোত্তর করার পর, তিনি রয়েল কলেজ অফ ফিজিশিয়ানস (MRCP) এর সদস্য এবং রয়্যাল কলেজ অফ সার্জনস (FRCS) এর ফেলো হন।
লন্ডন থেকে দেশে ফিরে তিনি রাজনীতিতে সক্রিয়ভাবে অংশ গ্রহণ করেন। স্বাধীনতার পর, রায় উত্তর প্রদেশের রাজ্যপাল হন এবং এক বছর পরে ১৯৪৮ সালে পশ্চিমবঙ্গের দ্বিতীয় মুখ্যমন্ত্রী হন।
মৃত্যুর এক বছর আগে রায়কে ভারতরত্ন দেওয়া হয়েছিল। রায় তাঁর বাড়িটি একটি নার্সিং হোম চালানোর জন্য জনসাধারণকে উপহার দিয়ে যান।