ভেলোর, ২৫ জুলাই: জেলের বাইরে পা রাখলেন রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত নলিনী শ্রীহরণ (Nalini Sriharan)। মেয়ের বিয়ের জন্য ছ’মাসের মুক্তির আবেদন জানিয়ে মাদ্রাজ হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন নলিনী। অবশেষে তাঁর জামিনের আবেদন মঞ্জুর করেন বিচারপতি এমএম সুন্দরেশ-সহ দুই বিচারপতির ডিভিশন বেঞ্চ। আজ দীর্ঘ ২৮ বছর পরে ভেলোর জেল থেকে ছাড়া পেলেন নলিনী।১৯৯১ সালের ২১ শে মে। মানব বোমা বিস্ফোরণে ছিন্নভিন্ন হয়ে গিয়েছিল প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধীর দেহ। তামিল টাইগারদের নিখুঁত ছকের আক্রমণে কেঁপে উঠেছিল গোটা দেশ। রাজীব গান্ধী হত্যায় (Rajiv Gandhi assassination case) দোষী সাব্যস্ত হওয়ার পরে নলিনী-সহ সাত জনকে মৃত্যুদণ্ডের রায় দিয়েছিল আদালত। আরও পড়ুন-নাড়ির টান, মাকে বাঁচাতে এনগেজমেন্টের দিন কিডনি দিলেন মেয়ে
কিন্তু সেই শাস্তি কার্যকর না হওয়ার পরে ২০০০ সালে তা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে পরিবর্তিত করে তামিলনাডু সরকার। রাজ্যপাল বনওয়ারিলাল পুরোহিতকে তদানীন্তন এআইএডিএমকে সরকারের তরফ থেকে ওই মামলায় সাজাপ্রাপ্ত মুরুগান, সান্থন, পেরারিভালান, জয়াকুমার, রবিচন্দ্রণ, রবার্ট পায়াস ও নলিনীকে মুক্তি দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিতে বলা হয়। তবে মুক্তি পাননি কেউই। এদিকে মেয়ের বিয়ের সময় তো আর দূরে থাকতে পারেন না। জেলের ভিতরেই জন্ম নিয়েছিলেন নলিনী ও মুরুগানের এই কন্যা সন্তান। বর্তমানে ব্রিটেনে উচ্চশিক্ষা সম্পূর্ণ করেছেন তিনি। জেলের বাইরে পা রেখে এদিন নলিনী বলেন, “মা হিসেবে মেয়ের প্রতি কোনও দায়িত্বই পালন করতে পারিনি। নিজের বাবার মৃত্যুর সময়েও উপস্থিত থাকতে পারিনি। এখন মেয়ের বিয়ের আয়োজন নিজের হাতে করতে চাই। তাই আদালতের কাছে মুক্তির আবেদন জানিয়েছিলাম।”
Nalini Sriharan, convict in Rajiv Gandhi assassination case, released on a month- long ordinary parole from Vellore central prison today, to make arrangements for her daughter's wedding. Madras High Court on 5th July granted her the parole. pic.twitter.com/Gi4p5usSu4
— ANI (@ANI) July 25, 2019
গত ২৫ ফেব্রুয়ারি মেয়ের বিয়ের জন্য রাজ্য সরকারের কাছে প্যারোলে মুক্তির আবেদন করেছিল নলিনী। কিন্তু, তার আবেদন খারিজ হয়ে যায়।পরে মার্চে একই আবেদন করেন তিনি। কিন্তু তাতেও রাজি হয়নি প্রশাসন। বাধ্য হয়ে এপ্রিলে মাদ্রাজ হাইকোর্টের শরণাপন্ন হন নলিনী।মেয়ের বিয়ের প্রস্তুতির জন্য ৬ মাসের মুক্তি চেয়ে বিচারপতিদের কাছে আবেদন করেন তিনি। এর ভিত্তিতে গত ২৫ জুন শুনানি হয় আদালতে। তারপরই ৫ জুলাই নলিনীকে আদালতে সশরীরে হাজিরা দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারপতি। উভয়পক্ষের আইনজীবীর বক্তব্য শোনার পর ৬ মাসের বদলে, নলিনীকে ৩০ দিনের জন্য প্যারোলে মুক্তির নির্দেশ দেয় আদালত। যদিও তাঁর স্বামী মুরুগান এখনও ভেলোর জেলে বন্দি।