New Campus of Nalanda University Photo Credit: X @narendramodi & @airnewsalerts

৪১৩ থেকে ১১৯৩ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত প্রায় ৮০০ বছর ধরে কেবল ভারত নয়, ভিন দেশের মেধাবী ছাত্রদেরও শ্রেষ্ঠ আশ্রয়স্থল ছিল নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় (Nalanda University), এই বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভূ-ভারতে ছিল না। কিন্তু শেষ পর্যন্ত জ্ঞানের এই মহৎ প্রতিষ্ঠানকে ধ্বংসস্তূপে পরিণত করেছিলেন তুর্কি যোদ্ধা মহম্মদ বিন বখতিয়ার খিলজি।নালন্দার প্রাচীন আর্ন্তজাতিক বিশ্ববিদ্যালয়ের কথা মনে রেখে ২০০৬ সালে নতুন ভাবে ওই শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরির প্রস্তাব দিয়েছিলেন এপিজে আব্দুল কালাম। উদ্যোগী হয়েছিলেন বিহারের তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারও। ২০১৪ সালের ১লা সেপ্টেম্বর নতুন করে যাত্রা শুরু করে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়।

 

আজ সকালে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিবিহারের রাজগীরের নালন্দার প্রাচীন ধ্বংসাবশেষের কাছাকাছি আন্তর্জাতিক বিশ্ববিদ্যালয় নালন্দার নতুন ক্যাম্পাস উদ্বোধন করতে চলেছেন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন বিহারের রাজ্যপাল, মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার এবং বিদেশ মন্ত্রী ড. এস. জয়শঙ্কর।ভারত ছাড়াও নালন্দা মিশনের অন্তর্গত ১৭টি দেশ এই কর্মকাণ্ডে সামিল হতে চলেছে । তাঁরা হল- অস্ট্রেলিয়া, বাংলাদেশ, ভুটান, ব্রুনাই দারুসসালাম, কম্বোডিয়া, চীন, ইন্দোনেশিয়া, লাওস, মরিশাস, মিয়ানমার, নিউজিল্যান্ড, পর্তুগাল, সিঙ্গাপুর, দক্ষিণ কোরিয়া, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম। এসব দেশ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমর্থনে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর করেছে।এই ১৭টি দেশের প্রধানরা সহ বেশ কিছু বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর নিজের এক্স হ্যান্ডেলে লেখেন- আমাদের শিক্ষাক্ষেত্রের জন্য আজএকটি বিশেষ দিন। আজ সকাল সাড়ে ১০টায় রাজগীরে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস উদ্বোধন করা হবে। আমাদের গৌরবময় অংশের সঙ্গে নালন্দার একটি শক্তিশালী সংযোগ রয়েছে। তরুণদের শিক্ষাগত চাহিদা পূরণে এই বিশ্ববিদ্যালয় নিশ্চয়ই অনেক দূর এগিয়ে যাবে।