পর্যটক দম্পতি (ছবিঃANI)

নয়াদিল্লিঃ মঙ্গল দুপুরে কাশ্মীরের (Jammu and Kashmir)পহেলগাঁওতে জঙ্গি হামলা (Pahalgam Terror Attack)। সন্ত্রাসবাদীদের গুলিতে ঝাঁজরা ২৭ টি তরতাজা প্রাণ। পরিজনদের সামনে গুলিবিদ্ধ হয়ে মৃত্যু বহু পর্যটকের। ভাগ্যের জোরে প্রাণে বেঁচেছেন কেউ-কেউ। কিন্তু আতঙ্ক পিছু ছাড়েনি। ভয়ে সারারাত চোখের পাতা এক করতে পারেননি হোটেলে বন্দি পর্যটকেরা। মঙ্গলের ভয়াবহ সেই অভিজ্ঞতার কথা সংবাদ সংস্থা এনএনআইয়ের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন নাগপুরের এক পর্যটক।

মঙ্গলের ভয়াবহ অভিজ্ঞতা শেয়ার নাগপুরের পর্যটকের

ঘটনাস্থল থেকে ২০ মিনিট দূরত্বে ছিলেন তিনি। তবে সেখান থেকেও স্পষ্ট শুনেছেন গুলির শব্দ। তাঁর কথায়, "পহেলগাঁওতে ঘুরতে গিয়েছিলাম। ছয়টি জায়গা ঘুরে নীচে নামি। নামতে নামতে আচমকা গুলির শব্দ পাই। ঘটনাস্থল থেকে ২০ মিনিট দূরে ছিলাম। গুলির শব্দ শুনে বুক কেঁপে ওঠে। বুঝতে পারি হামলা হচ্ছে।" কীভাবে সেখান থেকে পালালেন? তিনি বলেন, "একটা ছোট জায়গায় আটকে পড়েছিলাম। বেরনোর গেটটা সরু ছিল আর সেখানে অনেক পর্যটক জড়ো হন। ফলে ঠেলাঠেলি শুরু হয়। স্বাভাবিকভাবে সবাই পালানোর চেষ্টা করছিলেন। এর মাঝে পড়ে পায়ে চোট পান আমার স্ত্রী। এরপর আমার আর মেয়ের কাঁধে ভর দিয়ে তাঁকে কোনওরকমে নীচে নামাতে পারি। অনেকক্ষণ ধরে গুলি চলে।" এরপর ওই পর্যটক জানান, তাঁর স্ত্রীর পায়ের চোট গুরুতর। বর্তমানে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার কাশ্মীরের পহেলগাঁওতে জঙ্গি হানায় মোট ২৭ জন পর্যটকের মৃত্যু হয়েছে। তাঁদের মধ্যে তিনজন বাঙালি। পরিবার নিয়ে ভূস্বর্গে বেড়াতে গিয়ে আর ঘরে ফেরা হল না তাঁদের। দিশেহারা পরিবার।

' কীভাবে ঘটনাস্থল থেকে পালালেন? জঙ্গি হানার ভয়াবহ অভিজ্ঞতা শেয়ার করলেন পর্যটক