দিল্লি, ৭ ডিসেম্বর: নাগাল্যান্ডের (Nagaland) টিরু গ্রামে অসম রাইফেলসের গুলিতে ১৪ জনের মৃত্যুর পর থেকে গোটা রাজ্য জুড়ে চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। অসম রাইফেলসের গুলিতে যে ১৪ জনের মৃত্যু হয়, তা অনিচ্ছাকৃত। ভুল বোঝাবুঝির জেরেই মন জেলার টিরু গ্রাম রক্তাক্ত হয়ে ওঠে শনিবার রাতে। নাগাল্যান্ডের ঘটনা নিয়ে সোমবার সংসদে এমনই বিবৃতি দেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর ওই বিবৃতির পরও শান্ত হয়নি নাগাল্য়ান্ডের পরিস্থিতি। নাগাল্যান্ডে অফস্পার জেরে সেখানকার মানুষের জীবন বিপন্ন হচ্ছে। এমনই অভিযোগ করা হয় সে রাজ্যের তরফে। এমনকী নাগাল্যান্ড থেকে আফস্পা ( AFSPA) তুলে নেওয়া হোক বলেও দাবি করেন সে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী নেইফিউ রিও। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য থেকে যত শিগগিরই সম্ভব সেনা বাহিনীর এই বিশেষ ক্ষমতা প্রত্যাহার করা হোক বলে দাবি করা হয়। যা নিয়ে কেন্দ্র, রাজ্যের মধ্যে চাপানউতোর শুরু হয়েছে।
শনিবার রাতের ওই ঘটনায় যখন তোলপাড় শুরু হয়েছে, সেই সময় নাগাল্যান্ডে চলছে হর্নবিল উৎসব (Hornbill Festival)। যে উৎসবে গোটা দেশের পাশাপাশি বিদেশ থেকেও আসেন বহু মানুষ। শনিবার রাতের ওই ঘটনার পর হর্নবিল উৎসব রবিবার বন্ধ করে দেওয়া হয়। পাশাপাশি নাগাল্যান্ড মন্ত্রিসভায় বিশেষ বৈঠকেরও ডাক দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: Nagaland-এ ভুলের জেরেই গুলি, সংসদে বিবৃতি শাহর
নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী নেইফিউ রিও অভিযোগ করেন, আফস্পার জেরে সে রাজ্যের মানুষের জীবন বিপন্ন হচ্ছে। গ্রেফতারি পরোয়ানা ছাড়া যখনতখন গ্রেফতার বা আটক করা হয় সাধারণ মানুষকে। এমনকী, অযাচিতভাবে মানুষকে খুন করাও চলছে বলে অভিযোগ করেন রিও। এতকিছু করার পরও সেনা বাহিনীর বিরুদ্ধে কখনও কোনও পদক্ষেপ করা হয় না বলে অভিযোগ করেন নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী।
প্রসঙ্গত শনিবার টিরু গ্রামে অসম রাইফেসলের গুলিতে যে নিরীহদের মৃত্যু হয়, তারপরই কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আফস্পা তুলে নেওয়ার দাবি জানান নাগাল্যান্ডের মুখ্যমন্ত্রী।