Representational Image | (Photo Credits: PTI)

বারেলি, ১১ অগাস্ট: ২০০৫ সালে খুন করে পালিয়ে গিয়েছিল দুলহাজান। তারপর নাম-পরিচয় বদলে সমাজের ভিড় মিশে গিয়েছিল। গতকাল বিহারের কাটিহারের রোহিঙ্গা কলোনি থেকে ও যখন ধরা পড়ে, তার মাঝের ১৬ বছরে ওর দুবার বিয়ে হয়ে গিয়েছে, আট সন্তানের বাবাও হয়েছে। পুলিশ যখন বিহারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প থেকে দুলহাজান নামের এক ব্যক্তিকে ১৬ বছর আগের এক খুনের মামলায় গ্রেফতার করে, তখন সে ২জনের স্বামী, ৮জনের বাবা। দুলহাজানের দু স্ত্রী-ই রোহিঙ্গা।

ও যে খুনি তা কেউ জানতো না। ওর কাল হল পরিচয় গোপন করে বিয়ে করে। খুন করার বছর তিনেক পরে মোরাবাদে এক মহিলার সঙ্গে পরিচয় হয়ে বিয়ে করে দুলহাজান। ওদের সন্তানও হয়। কিন্তু সন্তান হওয়ার পর নিজের নাম ভাঁড়িয়ে আবার অন্য এক গ্রামে গিয়ে বিয়ে করে সে। সেই জোড়া বিয়ের কীর্তি ফাঁস হতে, কেঁচো খুড়তে বের হয় কেউটে। জানা যায় শুধু দুটো বিয়ে নয়, খুনের আসামীও সে। দুলহাজানের দুই স্ত্রীর বাড়ি দুই জায়গায়, প্রমজনের মোরাদাবাদে, দ্বিতীয় জনের কাচিহারের লালওয়ারা গ্রামে।

স্থানীয় পুলিশের পক্ষ থেকে দুলহাজানের গ্রেফতারির কথা জানিয়ে বলা হয়েছে, ২০০৫ সালের ১১ জুলাই বিহারের খায়ালিরামে এক পরিবারের বাড়িতে ঢোকে দুলহাজান ও তার তিন শাগরেদ। ওই তিনজনের নাম কাল্লু, দানা শহ ও আজমেরি। দুলহাজান সহ চারজন বাড়িতে ঢুকে চুরির পর দয়ারাম ও তার ছেলেকে আগুন ধরিয়ে খুন করে। কাল্লু, আজমেরি, দানা শাহ-এই ঘটনার পর গ্রেফতার হয়। কিন্তু দুলাহাজান একেবারে উধাও হয়ে যায়। দীর্ঘদিন তল্লাশির পরেও দুলহাজানকে কিছুতেই খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। একটা সময় তার খোঁজ করার চেষ্টা ছেড়ে দেয় পুলিশ। তখন দুলহাজান জোড়া বিয়ে করে আট সন্তানের বাবা হয়ে জমিয়ে সংসার করছিলেন। অবশেষে ১৬ বছর পর সেই দুলহাজান গ্রেফতার হল।