মুম্বই, ১৩ জুলাই: মধুচক্র চালানোর অপরাধে (Mumbai Sex Racket Busted) ৩৫ বছরের এক বৃহন্নলা (transgender)-কে গ্রেফতার করা হল। সূত্র মারফত খবর পেয়ে ওই মধুচক্র থেকে পাঁচজন মহিলাকে আপত্তিকর অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। মুম্বইয়ের শহরতলী অঞ্চলের নেহরু নগরের ভিলে পার্লে ( Vile Parle)-তে একেবারে ছোট্ট একটা ঘরে দেহব্যবসার কাজ চলছিল। মধুচক্রটি চালাচ্ছিলেন এক বৃহন্নলা। কাউকে মোটা টাকার লোভ দেখিয়ে, কাউকে আবার চাকরির টোপ দিয়ে এই মধুচক্রের কাজে লাগানো হচ্ছিল বলে মুম্বই পুলিশ জানায়। অভিযুক্ত বৃহন্নলার বিরুদ্ধে মহিলা পাচারের ধারাতেও কেস রুজু করা হয়েছে। মুম্বইতে লকডাউনের মাঝেও রমরমিয়ে মধুচক্র চালানো মাঝে দুটি জায়গা থেকে মডেল সহ মহিলাদের উদ্ধার করা হয়েছিল।
গত মে মাসে লকডাউনের মাঝেই মুম্বইয়ে হদিশ মিলল মধুচক্রের। মুম্বইয়ের ঘাটকোপার (Mumbai) অঞ্চলে পুলিস হানা দিয়ে মধুচক্র ফাঁস করে। রীতিমত ফাঁদ পেতে এই মধুচক্র ফাঁস করা হয়। এক নাবালিকাকে জোর করে মধুচক্রে কাজে লাগানোর অভিযোগ উঠছে। আপত্তিকর অবস্থায় দুই মহিলাকেও উদ্ধার করা হয়েছে বলে খবর। মুম্বই ক্রাইম বাঞ্চের পক্ষ থেকে এই খবর জানানো হয়েছে। এই মধুচক্র চালানোর অভিযোগে পুণের ৩৭ বছরের এক মহিলা ও ৪০ বছরের ভান্ডুপের এক ব্যক্তিকে গ্রেফতার করা হয়েছিল।
সূত্র মারফত খবর পেয়ে তারা বিশেষ দল নিয়ে ঘাটকোপার (পশ্চিম)-এর হাজি আব্দুল কাদের চাওলে হানা দিয়েছিল পুলিশ। খবর ছিল এক মহিলা বাড়ি ভাড়া নিয়ে মধুচক্র চালাচ্ছেন। অর্থের লোভ দেখিয়ে নান বয়েসের মেয়েদের মধুচক্রে আসার টোপ দিতেন সেই মহিলা। এক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন মুম্বই পুলিশের কাছে অভিযোগ জানায়, জোর করে সেই মধুচক্রে এক নাবালিকাকে কাজে লাগানো হচ্ছে। এরপর পুলিস অভিযান চালানোর সিদ্ধান্ত নেয়।
এক ব্যক্তিকে কাস্টমার সাজিয়ে সেই অভিযুক্ত মহিলার সঙ্গে যোগাযোগ করায় পুলিস। সবটাই ছিল মধুচক্র ফাঁস করার ছক। সাধারণ পোশাকে ধারাকাছেই ছিল পুলিশ। রাত ১২.৪০ নাগাদ অভিযুক্ত সেই মহিলা তিনজনকে নিয়ে পুলিশের নিয়োগ করা সেই লোকটির সঙ্গে দেখা করতে আসেন। এরপর তাদের মধ্যে আর্থিক লেনদেন হয়, এরপর পুলিশ তাদের প্রমাণ সহকারে ধরে ফেলে। সেই বাড়িটিতেও হানা দিয়ে কয়েকজনকে ধরে ফেলে।